উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় যেন মোটর সাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে। দিনে দুপুরে হরহামেশেই চুরি হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল।

চাকুরিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরাও বাদ যাচ্ছে না মোটরসাইকেল চুরি থেকে। এদিকে, কালিয়া পৌর এলাকায় সিসি টিভি থাকার পরও মোটরসাইকেল চুরির হিড়িক পড়ায় উদ্বেগ বেড়েছে মোটরসাইকেল মালিকদের মধ্যে।

এছাড়া মোটরসাইকেল চুরির পর সংশ্লিষ্ট থানায় ভুক্তভোগিরা জিডি বা মামলা করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া কোন মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট এই কাজগুলো করছে। যে কারণে সহজেই মোটরসাইকেল চোরদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১.৫৫টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে সিসি ক্যামেরা বেষ্টিত ছোট কালিয়া ভাড়া বাসার সামনে থেকে একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির ১০০সি সি বাজাজ প্লাটিনা লাল রংয়ের একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। তাৎক্ষণিক তিনি কালিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া গত ১৬ ডিসেম্বর পৌর শহরের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরের সামনে থেকে জনৈক ঠিকাদার মনির হোসেনের একটি অ্যাপাসি ফোরভি মডেলের,নড়াইল-ল-১১-২৩৪৫ নং মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এভাবে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা করা হলেও একটিও উদ্ধার বা কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এছাড়া রাতের আধাঁরে বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে প্রায়ই মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে।

এরপরও নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। ভুক্তভোগি মো. সোহেল বলেন,‘ সিসি টিভি ক্যামেরা আওয়াতার মধ্যেই একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট মোটরসাইকেল চুরি করছে। বুধবার দিনে-দুপুরে আমার মোটরসাইকেল চুরির পর থানায় অভিযোগ করেও মোটরসাইকেলের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রতনুুজ্জামান বলেন,‘ মোটরসাইকেল চুরির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে