মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ জাতীয় পার্টির দূর্গ বলে খ্যাত নীলফামারী ৪ আসনে দুই জোটের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছে। এর মধ্যে মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী দুইজন। বিএনপির দুই জন, আওয়ামীলীগের চারজন,ইসলামী শানতন্ত্র আন্দোলনের একজন ও তিনজন সতন্ত্র সহ মোট বারোজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন।  উপজেলা সহকারী রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, নীলফামারী ৪ আসনে মহাজোটের শরিক দল জার্তীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী ও এরশাদের ভাগিনা আদেলুর রহমান আদেলুর রহমান আদেল ।

বিএনপির প্রার্থী হিসাবে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকার ভজে ও কন্ঠ শিল্পী বেবী নাজনিন। আওয়ামীলীগ থেকে বিদ্রোহী প্রাথী হিসাবে আখতার হোসেন বাদল, ইঞ্জিনিয়ার সেকেন্দার আলী, আমেনা কহিনুর, আমিনুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের শহিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম , বসুন্ধরা কিংসের সাধারন সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেন স¤্রাট মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

স্থানীয় ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার আগে সাধারন ভোটাররা ছাড়াও মহাজোটের শরিক দল জার্তীয় পার্টির নেতাকর্মীদের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে বিএনপির প্রার্থী । বিএনপি থেকে যেই চুড়ান্ত মনোনয়ন পাক, জার্তীয় পার্টির দুজন প্রার্থীর মধ্যে ভোটে কে পারবে তাঁর সাথে টক্কর দিতে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা এমন চুলছেরা বিশ্লেষন শুরু করেছে। তবে জার্তীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দাবি শেষ পর্যন্ত দল বর্তমান এমপি শওকত চৌধুরীকে সমর্থন দিতে পারে। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালিন সময়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল অটুট। তিনি নেতাকর্মীদের যথাযত মুল্যায়ন করেছেন। এছাড়াও তাঁর ক্ষমতার মেয়াদে অনেক দান অনুদান ও উন্নয়নের বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে। তাছাড়া তিনি দানশীল ব্যাক্তি হিসাবে এ এলাকায় তাঁর একটা কদর রয়েছে।

উপজেলা যুবসংহতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতীয় পার্টির অপর মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী আদেলুর রহমান আদেল র্দীঘদিন থেকে বিদেশে একটি ব্যাংকে উচ্চ পদে কর্মরত থাকায় ভোটার কিংবা দলের নেতা কর্মীদের কাছে এখন পর্যন্ত তেমন একটা জায়গা করে নিতে পারেনি। আমরা মনে করি শেষ পর্যন্ত বর্তমান এমপি শওকত চৌধুরী নির্বাচনে থাকলে এ আসনটি তাঁর পক্ষে ধরে রাখা সম্ভব হবে। তা না হলে আসনটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

উপজেলা শ্রমিক পার্টির সভাপতি ইলিয়াছ হোসেন বলেন, নীলফামারী ৪ আসনে শওকত চৌধুরীকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক আলম হোসেন বলেন, বিএনপির যে দুজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন তাঁর মধ্যে একজন গত ২০০১ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন পাশাপাশি তিনি বর্তমানে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র এবং অপরজন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক তাদের মধ্যে শেষে যেই চুড়ান্ত প্রার্থী হবে তাঁর সাথে টক্কর দিতে শওকত চৌধুরীর বিকল্প নেই।

নীলফামারী ৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী বলেন, দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এ আসনের জন্য একমাত্র আমাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন। যাচাই বাছাইয়ের পর বিষয়টি খোলাশা হবে। জাতীয় পার্টির অপর মনোনয়ন প্রাপ্ত আদেলুর রহমান আদেলের সাথে কথা বলার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে