মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ নীলফামারী-৪ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ একাট্ট হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে। শেষাবধী মাঠ দখলে রাখার চেষ্টা করছে মহাজোট। অপর দিকে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে অসন্তোস থাকায়, একটি অংশ জিমিয়ে পড়েছে তবে প্রার্থী যদি কোন্দল মিটিয়ে নির্বাচনের মাঠে নিয়ে আসতে পারে তাহলে ধানের শীষ প্রার্থী ও মহাজোট প্রার্থী মধ্যে হাড্ডাহাড্ডী লড়াই হবে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়।

নীলফামারী-৪ আসনটি জাতীয় পার্টির ভোটের ক্ষেত্রে একটি দুর্গ। পূর্বের নির্বাচন গুলোতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা একাধিক বার এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিল। শুধু ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চার দলীয় জোট প্রার্থী আমজাদ হোসেন সরকার ও ২০০৮ সালে মহাজোট প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছিলেন মরহুম অবসর প্রাপ্ত কর্ণেল মারুফ স্যাকলাইন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আসন থেকে নির্বাচিত হন লাঙ্গল প্রতীকের শওকত চৌধুরী।

কিন্তু এবারের পেক্ষাপট ভিন্ন, মহাজোট থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পুরুদমে মাঠ চষে বেরাচ্ছেন আহসান আদেলুর রহমান আদেল । এতে তিনি ভোটারদের কাছে সারাও পাচ্ছেন ভালো। এছাড়াও তিনি নতুন মুখ হওয়ায় ভোটারদের আস্থা বাড়ছে তার প্রতি।গতানুগতিক ভাবে আসনটি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসনে মোহাম্মদ এরশাদের ভাগিনা ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আসাদুর রহমানের ছেলে মহাজোট প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল।

অপরদিকে ২৩ দলীয় জোটের আমজাদ হোসেন সরকার চাচ্ছেন আসনটি পুরুদ্ধার করতে, তবে যদি তিনি বিভক্ত বিএনপিকে একত্রিত করতে পারেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা পাটোয়ারী বলেন ২৩ দলীয়জোট থেকে প্রথম মনোনয়োন দেয়া হয় জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্প বেবি নাজনিনকে আমরা ওনার পক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীকে একত্রিত করে ছিলাম কিন্তু শেষে আমজাদ হোসনে সরকারকে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির একটি অংশ মনক্ষুন্ন হয়েছে।

মহাজোট প্রার্থী আহসান আদেলুর রহমান আদেল বলেন এর আগে আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম না, অবহেলিত এ আসনের কথা চিন্তা করে আমি ভোটের মাঠে নেমেছি। ভোটাররা যদি আমাকে তাদের মূল্যবান ভোটদিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে আমি  প্রতিটি গ্রামকে শহরের মতো করে গড়ে তুলবো। বেকার সমস্যা সমাধানে কাজ করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে