biddut

বিডি নীয়ালা নিউজ( ২৩ই আগস্ট  ২০১৬ ইং )-(আ,ফ,ম,মহিউদ্দিন শেখ)কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার খামার গাড়াগ্রাম গ্রামে রোববার সন্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ট্রাজিডির ঘটনায় আরো ১ জন মারা গেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্কুল ছাত্র নাঈম (১৪) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মারা গেছে। এ ট্রাজিডির ঘটনায় মৃত্যুর সংখা দাড়ালো ৩ জনে। তবে এর আগে ঘটনাস্থলেই সাজেদুল ইসলাম বাবু মিয়া (৪৫) ও তরিকুল ইসলাম (৩০)  মারা যান। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তী রয়েছে। এর মধ্যে মৃত হালিম উদ্দিনের পুত্র মোশাহাব (৬০), মহুবরের স্ত্রী তাহেরা(৫৫), মোশাহাবের পুত্র সাজু(২৮) ও সাদাকাতুল বারীর পুত্র বিপ্লব’র অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম ইনসের আলীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এছাড়া টেপাহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ ও লাইনম্যান রুবেল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে। এদিকে বিকেল ৫টার সময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এসময় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। নিহত ও আহত ব্যক্তির স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বৈদ্যুতিক তার সংযোগ করতে গেলে গ্রামবাসী বাঁধা দেয়। তদন্ত টীম গ্রামবাসীকে আশ্বাস দিলে উত্তেজনা হ্রাস পায়। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশিদ’র সাথে কথা হলে তিনি জানান, এলাকায় কোন অবস্থার অবনতি ঘটেনি। এদিকে রোববার মাগরিব শেষ না হতেই পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার কেভি লাইন’র তার ছিঁড়ে ব্যবসায়ী সাদাকাতুল বারীর টিনের ঘড়ের উপর পরে পুরো বাড়ী বিদ্যুতায়িত হয়ে পরে। এসময় তার বারান্দায় থাকা ভুট্টার খোঁসায় আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে রাশিদা (২৫) বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পরে। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করার পর বার বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার পর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে। পরে ঐ বাড়ী ও প্রতিবেশীর বেশ ক’জন উৎস্যুক লোক বারান্দায় পর্যবেক্ষনকালে হটাৎ ১ মিনিটের মত সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া মাত্রই সকলেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পরে। এ ব্যাপারে বাড়ীর মালিক সাদাকাতুল বারীর সাথে কথা হলে , তিনি বলেন, “আমি সে সময় বাড়ীর বাইরে ছিলাম। ভিতরে এসে দেখি, বারান্দায় সকলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।” পরে তাদের দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তী করা হয়। তবে ঘটনাস্থলেই বাবু মিয়া ও হাসপাতালে নেয়ার পথে তারিকুল মারা যান। ওই এলাকার নুর মোহাম্মদ দুলাল ও গোলাম মোস্তফার সাথে কথা হলে তারা জানান, মোড়কবিহীন পল্লী বিদ্যুতের তার খুবই বিপজ্জনক। কারণ বেশ কয়েকদিন থেকে ঘটনাস্থলের কাছে একটি নারিকেল গাছের পাতার সাথে তারগুলোর অনর্গল সংঘর্ষ হয়। গোটা এলাকায় গাছের ডালের সাথে তার জড়িয়ে একাকার হয়ে আছে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে বলেও কোন লাভ হয়নি। তাদের গাফেলাতির কারণেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে