8686

ডেস্ক রিপোর্টসঃ নীলফামারী জেলার ডোমারে স্বামী-স্ত্রী জিনের বাদশা সেজে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারনা করায় কয়েকটি পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড হলহলিয়া ফকিরপাড়া গ্রামে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত হুসেন মেম্বারের ছেলে ফজিবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পলি বেগম তাদের বাড়ীর পাশ্বে জ্বীন-পীরের মাজারের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন এলাকার গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের কোটি টাকা ও সোনা দানা দেয়ার লোভ দেখিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। ভুক্তভোগী পার্শ্বের গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের স্ত্রী খতেজা বেওয়াকে কলা হয়, তার বাড়ীতে ধনী জ্বীন বসবাস করে। কিছু নিয়ম মেনে চললে জ্বীনের রাখা সোনা টাকা তাকে দিবে বলে লোভ দেখীয়ে ৩০ হাজার টাকা নেয়। বিশ্বাস স্থাপন করাতে তার ঘড়ে হাড়ি পুঁতে রাখে। ৭দিন পড়ে হাড়ি ভর্তি সোনা আসবে বলে আতব চাউল, মোরগ, দুধ-কলা সহ নগদ অর্থ নেয় তারা। ৭দিন পড়ে হাড়িটি তুলে দেখে সেখানে সিটি গোল্ডের ২টি দুল ও ইটের টুকরা রয়েছে। এতে প্রতারকরা বলে,  হয়তোবা তুমি কাউকে বলেছো নইলে হাড়ি ভর্তি সোনা দেয়ার কথা ছিলো। যদি কাউকে বলো তাহলে তোমার মৃত্যু হতে পারে বলে ভয়ভীতি দেখায়। এতে তার বিশ্বাস জমে উঠে, আবারো টাকা দেয়। এমনি ভাবে হাজী পাড়ার আতাউরের স্ত্রী লাইলীর কাছে সোনার দুল, টেপ্রীগঞ্জ বাবুল বাজার চাঁনপাড়ার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে আব্দুস সামাদ (মোটা) ও তার স্ত্রী কলফি বেগমের কাছে ৩০ হাজার টাকা, সোনার গহনা নিয়ে প্রতারনা করছে স্বামী-স্ত্রী দু’জন। দিনের পর দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরত পেতে ফজিবুল ও পলির বাড়ীতে ভীড় জমায় মানুষ।

বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশ হলেও টাকা ফেরত না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। টাকা ফেরত না পেলে স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে তারা জানান।

 

এস/কে/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে