নির্বাচন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন। এদের সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করেছে দলটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিএনপি সমর্থকদের গুলিতে আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। 

কুমিল্লা: কুমিল্লার চান্দিনার পশ্চিম বেলাশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে রোববার সকালে ব্যালটবক্স ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে বিএনপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ভোট দিতে আসা মজিদ নামে একজন নিহত হন। আহত হন পুলিশের ২ সদস্যসহ ৫ জন।

এদিকে, নাঙ্গলকোটের সন্ধ্যাইলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষে বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর-২ আসনের পশ্চিম নন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে অন্তত ১০ জন আহত হন। এসময় ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ পুলিশের দু’টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের তিলাবদুল আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হন। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা-২ আসনের ধলবাড়িয়া ভোটকেন্দ্রে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

অন্যান্য: চট্টগ্রামে ২ জন, কক্সবাজার, বগুড়া, নাটোর, নোয়াখালী ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সংঘর্ষে আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন। 


S/T/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে