UP_N-300x157

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৩ই ফেব্রুয়ারী১৬)-বিশেষ প্রতিনিধিঃ  নির্বাচনী বিধি-নিষেধ ভুলে নিজেদের ইচ্ছামতো নির্বাচনী প্রচারণা চলছে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে (ইউপি)।

আচরণ বিধি পরিপালনের জন্য কোন গাইড যেমন নেই তেমন নিয়মভঙ্গের বিরুদ্ধেও নেই কোন কর্তৃপক্ষ। তৃণমূলের এই নির্বাচনে নীরব ভূমিকায় নির্বাচন অবলোকন করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দল ও প্রার্থীদের পক্ষে হাজারো অভিযোগ থাকলেও লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় ইসির অভিমত নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনে নেই ইসির কোন তদারকি। তফসীলের খসড়ার সাথে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েই আপাতত হাফ ছেড়েছে ইসি। তবে ইসি সচিবের মতে, নির্বাচনের পরিবেশ অন্তত ভাল রয়েছে। এবারে নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হবে। তবে কোন অনিয়ম হলে বা কারো কাজে বাধা দেওয়া হলে সুনির্দিষ্ট ভাবে লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় মিছিল, শোডাউন জমায়েত পথসভা ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তার সমর্থকের উপর হামলা, হুমকি মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান এবং মনোনয়ন বঞ্চিতদের নানা কর্মসূচী পালনের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো প্রথম ধাপের ৭৩৯ ্ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মনোনয়নপত্র দাখিল। নৌকা-ধানের শীষ ছাড়াও ১৯ টি রাজনৈতক দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র হিসাবে নির্দলীয় ও রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বঞ্চিতরা মনোনয় পত্র জমা দিয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সচিবালয় থেকে মনিটরিং করে কার্যত: কোন কাজ হয়না। বিগত উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে ইসি সচিবালয় থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হয়েছে। কয়েকজন ভিআইপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এলাকা ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। এর কারন হিসাবে দেখা গেছে ইসির প্রাথমিক নির্দেশনা কেউ মানেনি। আর ইসিও চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়নি। এতে কোন উদ্যোগ নেওয়া না নেওয়া একই।
এছাড়া এবারের নির্বাচনের শুরুর দিক থেকেই ইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের গাছাড়া ভাব রয়েছে। পরপর দু‘দুফা তফসীলে যেমন কোন কর্মকর্তারা ছিলনা তেমনি অন্তত অর্ধ ডজন নির্বাচনী কাজে ধরা পড়েছে কর্মকর্তাদের অসাবধানতা ও ভূল। এতে করে নির্বাচন মনিটরিংয়ে ইসির সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন নিয়ে ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দাখিল করতে হবে। ঢালাও অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। কখন, কোথায়, কে ঘটনা ঘটিয়েছে এগুলো থাকতে হবে অভিযোগে। অদৃশ্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, খুব ক্লোজলি পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। যেহেতু ইউপি অনেক বড় নির্বাচন, তাই সব জায়গায় আমাদের কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সরকারের প্রশাসনের জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এতে সমস্যা হবেনা। তিনি জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আগেও সুচারুরূপে নির্বাচন সম্পাদন করা হয়েছে। এবারও হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, আচরণ বিধি লংঘনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এখন মনোনয়ন পত্র জমা দেয়া শুরু হয়েছে। প্রার্থী হওয়ার পর সবার দিকে সমান নজর দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত বিধিলংঘনের কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে