ডেস্ক স্পোর্টসঃ ইতিহাস গড়ার দোরগোড়ায় ছিল ভারত। এ জন্য পার্থ টেস্টের শেষ দিনে ১৭৫ রান করতে হতো। হাতে ছিল ৫ উইকেট। করতে পারলেই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদেরই কোনো সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে হারানোর কীর্তি গড়ত টিম ইন্ডিয়া।

কিন্তু নিমিষেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ। টেস্টের পঞ্চম দিনের ১ ঘণ্টাতেই কোহলি বাহিনীর এ রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেছে। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিনসের গতির ঝড় এবং নাথান লায়নের স্পিন বিষে ১৫ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছেন তারা। রান উঠেছে মাত্র ২৪। এতে ১৪৬ রানের বিশাল জয়ে ৪ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টেস্টে অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিলেন অজিরা।

৫ উইকেটে ১১২ রান নিয়ে শেষ দিনে খেলতে নামে ভারত। দিনের খেলা শুরু করেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান হানুমা বিহারি ও রিশাভ পান্ত। ইতিহাস গড়ার সব রকম সামর্থ্যই এ জুটির ছিল। তবে তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্টার্ক। দিনের শুরুতেই গতি আর সুইংয়ের মিশেলে দুই ব্যাটসম্যানের নাভিশ্বাস তুলে ছাড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বলি হন বিহারি। মিড উইকেটে মার্কাস হ্যারিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৭৫ বলে ২৮ রান করেন তিনি।

সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি পান্ত। দ্রুত তাকে ফিরিয়ে জয়ের পথ পরিষ্কার করেন লায়ন। ফেরার আগে করেন লড়াকু ৬১ বলে ৩০ রান। শেষ দিকে লেজের ব্যাটসম্যানরাও লেজ নাড়াতে পারেননি। তাদের সুযোগই দেননি স্টার্ক-কামিন্স। বাদ সাধা উমেশ যাদবকে ফিরিয়ে দেন স্টার্ক। আর পানি পানের বিরতির পরের ওভারেই শেষ ২ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন কামিন্স। ফলে ১৪০ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। ১৪৬ রানের দাপুটে জয় পায় স্বাগতিকরা।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নাথান লায়ন ও মিচেল স্টার্ক। ২টি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স। খেলা গড়ানোর আগে পার্থের সবুজ গালিচার ভয় দেখানো হলেও মূলত ভারতীয়দের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছেন লায়ন। এ টেস্টে সফরকারীদের যমদূত ছিলেন এ স্পিনারই। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনিই।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে