ডেস্ক রিপোর্টঃ নিজ নিজ দপ্তরে যোগদান করছেন নবনিযুক্ত মন্ত্রীরা। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার পর একে একে সচিবালয়ে আসেন তারা। নিজ নিজ দপ্তরে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশবাসীর সহায়তা চান নতুন মন্ত্রীরা। অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের অঙ্গীকারের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

২০০৯ এর মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ডা. দীপু মণি এবার শিক্ষামন্ত্রীর ভার নিয়েছেন। তার সঙ্গে আছেন উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। দুজনেই জানান, অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন তারা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেন, ‘গত ১০টি বছরে সরকারের যত অর্জন সেগুলো সুসংহত করা এবং আরো যা করতে হবে সেগুলো করার ক্ষেত্রে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।’

দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দেয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান দ্বিতীয় মেয়াদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

সুশাসন নিশ্চিত করা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন প্রথমবার দায়িত্ব হওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানালেন, সুশাসনের জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা হবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী থাকা ড. আব্দুর রাজ্জাক এবার পেয়েছেন কৃষিমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ অন্যান্য মন্ত্রীরাও নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।

এর আগে মন্ত্রীদের রুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত করা হয়েছে। ফুলের তোড়া, মিষ্টি নিয়ে মন্ত্রীদেরকে বরণ করে নেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা গেছে, এ লক্ষ্যে আজ সকাল ৯টার আগেই সচিবালয়ে এসে পৌঁছান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব থেকে শুরু করে প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিভিন্ন দপ্তরে নতুন মন্ত্রীদের নামফলকও লাগানো হয়েছে।

সকাল ১০টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নতুন মন্ত্রীরা। এরপর তারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে সেখান থেকে নিজ নিজ দপ্তরে যান।

এ ব্যাপারে সচিবালয়ের কর্মচারীরা বলছেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের মন্ত্রিসভার চিত্র একটু ভিন্ন। আগেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়ছে কে কোন মন্ত্রী হচ্ছেন। অন্য সময় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেও কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন এর জন্য অপেক্ষা থাকলেও এবার তা নেই। এর ফলে প্রত্যেক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নিজেদের মতো প্রস্তুত হতে পেরেছেন।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে