Kamrul-hasan-20150204064806

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪ই মার্চ১৬)অনলাইন প্রতিনিধিঃ মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিল রায় নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

তার আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব রোববার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন জমা দেন।

তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ আদালত, প্রধান বিচারপতি ও সব বিচারকের প্রতি তার (কামরুল) শ্রদ্ধা রয়েছে। ওই বক্তব্যের জন্য তিনি আদালতের মার্সি চেয়েছেন।”

তবে আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ১৫  মার্চ কামরুল হাজির হতে পারছেন না জানিয়ে  এই আইনজীবী বলেছেন, আবেদনে সময় চাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

গত ৫ মার্চ ঢাকায় এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে মীর কাসেমের আপিলের পুনঃশুনানির দাবি তোলেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন,আপিলের শুনানিতে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ প্রকাশের মধ্য দিয়ে ‘রায়েরই ইঙ্গিত’ মিলছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান বলে গণমাধ্যমের খবর।

তাদের ওই বক্তব্য সে সময় তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। মীর কাসেমের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং বিএনপি নেতারা মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘ঔদ্ধত্বপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে বলেন, এটা বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ।

এ ধরনের মন্তব্য এড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিতর্কিত বক্তব্যে যুদ্ধাপরাধের বিচারই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কারও মন্তব্য করা উচিৎ নয়।

রায়ের আগের দিন সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কথা বলেন। দুই মন্ত্রীর ওই বক্তব্য যে সরকারের ভাষ্য নয়, তা তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন বলে গণমাধ্যমের খবর।

এরপর ৮ মার্চ মীর কাসেমের চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা আপিল বিভাগের সব বিচারককে নিয়ে বসে দুই মন্ত্রীকে তলবের আদেশ দেন।

দুই মন্ত্রীর দেওয়া যে বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা বিচার প্রশাসনের ওপর হস্তক্ষেপ এবং সুপ্রিম কোর্টের সম্মান ও মর্যাদাকে হেয় করার শামিল বিবেচনা করে কারণ দর্শাও নোটিস দেওয়া হয় তাদের।

ওই বক্তব্যের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম কেন শুরু করা হবে না- তা ১৪ মার্চের মধ্যে জানাতে বলা হয় নোটিসে। আর দুই মন্ত্রীকে ১৫ মার্চ সকাল ৯টায় হাজির হতে হবে আদালতে।

কামরুলের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি সম্মেলনের কারণে বিদেশে থাকায় আমার মক্কেল ১৫ তারিখে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। ১৬ তারিখের পর সময় দিলে তিনি অবশ্যই আদালতে হাজির হবেন।”

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে