বিডি নীয়ালা নিউজ(২৮ই এপ্রিল১৬- ব্যাবসা ও বাণিজ্য প্রতিবেদনঃ অনুমোদনবিহীন অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে রাজধানীর কদমতলী এলাকার দুটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানাধীন পূর্বজুরাইনস্থ রসুলবাগ এলাকায় র্যাব-১০ এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
র্যাব জানায়, কিউরেক্স ফামাসিউটিক্যালস লিমিটেড অনুমোদনবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান দিয়ে কিউরাসিপ সিরাপ (সিপ্রোফ্লক্সাসিন), কলিফ্লক্সিন-ভেট সিরাপ (এনরোফ্লোক্সাসিন), কিউরমক্স সিরাপ (এমোক্সোসিলিন), টাইডক্সিন প্লাস সিরাপ (ডক্সিসাইক্লিন) এবং সেফাস্টিন প্লাস পাউডার (সেফালেক্সিন) নামীয় এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করেছে।
এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে কারখানাটিতে উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ধরনের ফার্মাসিস্ট ও কেমিস্ট পাওয়া যায়নি। গবাদি পশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিদেশি বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের ওষুধও তারা নকল করেছে।
চার তলা ভবনের ওই কারখানাটিতে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে ভিতরে কয়েকজন সাধারণ কর্মচারী নিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল বিভিন্ন ধরনের অনুমোদনবিহীন ওষুধ।
অভিযান পরিচালনার সময় বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সমস্ত অপরাধের কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারখানার মালিক মো. মোস্তফা কামালকে (৪৬) পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং কারখানাটি সিলগালা করে দেন।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১০ এর সিনিয়র এএসপি মো. সাজ্জাদ হোসেন, এডি মো. আতিকুর রহমান এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক সৈকত কুমার কর।