ডেস্ক রিপোর্টঃ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কর কর্মকর্তাদের দ্বারা কোন ধরনের হয়রানির শিকার হবেন না। তবে নতুন এই আইনের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট বাস্তবায়ন ও আইটি) শাহনাজ পারভীন,ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় এনবিআরের ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপপরিচালক জাকির হোসেন এবং ডিসিসিআইয়ের ট্যাক্স কনসালটেন্ট দেবাশীষ বড়ুয়া নতুন ভ্যাট আইনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষনার্থীদের সম্যক ধারণা দেন।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ১৫০ জন প্রতিনিধি কর্মশালায় যোগদান করেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, পৃথিবীর সব দেশে ভ্যাট হার একটি। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে ভ্যাটের হার চরটি করেছি। বাংলাদেশে ভ্যাট ও আয়করের হার বিশে^র অনেক দেশের তুলনায় কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি জানান,সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে এনবিআর ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে।
কর আহরণ ব্যবস্থায় আরো শৃঙ্খলা আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবদ্ধি ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আভ্যন্তরীন চাহিদা বাড়ার পাশপাশি সরকারের ব্যয়ের পরিমাণও বৃদ্দি পাচ্ছে।এছাড়া বাজেটে বিদেশী সহায়তা কমে দাঁড়িয়েছে জিডিপির মাত্র ২ শতাংশে। তাই আমাদেরকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর দিকে আরো মনোযোগি হতে হবে।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভ্যাট মুক্ত সীমা ৫০ লাখ টাকায় উন্নীতকরণ,ভ্যাট রিফান্ড পদ্ধতি এবং ক্যাপিটাল মেশিনারীজ আমদানীতে অগ্রিম কর অব্যাহতি প্রদান বেসরকারীখাত নির্ভর অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে। তিনি উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামাল আমদানির উপর অগ্রীম কর অব্যাহতি,ভ্যাট প্রদানে অন্যান্য স্ল্যাবের ক্ষেত্রে রিবেট প্রদান এবং জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন।
তিনি উপজেলা পর্যায়ে রাজস্ব অফিস স্থাপন এবং বিদ্যমান কর অঞ্চলের সংখ্যাকে ৩১ থেকে ৬৩ তে উন্নীত করার এনবিআরকে ধন্যবাদ জানান।
এনবিআরের সদস্য শাহনাজ পারভীন বলেন,ভ্যাট প্রদানে ব্যবসায়ীরা যদি হয়রানির শিকার হন,তাহলে এনবিআরের নজরে আনবেন। তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইনটি ব্যবসায় ব্যয় হ্রাসের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে।
ভ্যাট আইনের বিষয়ে যাতে কোন সন্দেহের তৈরি না হয়,সেজন্য ব্যবসয়ীদের সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি এবং প্রজ্ঞাপন ভালভাবে জানার পরামর্শ দেন তিনি।
মুক্ত আলোচনায় ব্যবসায়ীরা প্যাটেজ ভ্যাট বহাল রাখা,তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো,ভ্যাট কল সেন্টার স্থাপন,অ্যাপ নির্ভর কর আহরণ পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করেন।
বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে