ডেস্ক রিপোর্ট : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার শতকরা ৭৩.৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৫ সালে তৎকালীন সরকারের সময় ছিল শতকরা ৫৩.৫ ভাগ।
প্রতিমন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ, এ, এম মঞ্জুর কাদির ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক স্বপন কুমার ঘোষ উপস্থিতি ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে অক্ষর জ্ঞান দান, অব্যাহত ও জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, কর্মসংস্থান, আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের শিক্ষার বিকল্প সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সরকার উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন’ ২০১৪ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, সাক্ষরতা বিস্তার, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
জাকির হোসেন বলেন, মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪টি উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে।
জাকির হোসেন বলেন, দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয় বহির্ভূত রয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভূত ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি যে সব প্রতিষ্ঠান উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে জড়িত তাদের প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন, শিক্ষকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিরূপণ, শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা গ্রহণ ও সনদ প্রদানের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন সাক্ষরতা অর্জনকারী ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান; প্রাথমিকভাবে ৫০০টি আইসিটি বেইজড স্থায়ী কমিউনিটি লার্নিং সেন্টার (সিএলসি) স্থাপন করা হবে এবং ৬৪টি জেলায় ৬৪টি জীবিকায়ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে