dinajpur

বিডি নীয়ালা নিউজ(২০ফেব্রুয়ারি১৬)-দিনাজপুর প্রতিনিধি:  দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পার্শ্ববর্তী শেরপুর বুনুয়ার ডাঙ্গায় নলকূপের পাইপ দিয়ে পানি মিশ্রিত জ্বালানি তেল পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবর্তীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে গেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ছয় কিলোমিটার উত্তরে পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের শেরপুর বুনুয়ার ডাঙ্গা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য খাতিজার রহমানের বাড়িতে পুরনো একটি নলকূপের বোরিং মেরামত করতে যায় মিস্ত্রিরা। এ সময় তারা তেল মিশ্রিত পানি দেখতে পান।

শনিবার দুপুরে খাতিজার রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শতশত নারীপুরুষ সেখানে ভিড় করছেন।

খাতিজার রহমান জানান, ২০০৫ সালে তিনি বাড়িটি নির্মাণ করেন। এ সময় পানীয় জলের চাহিদা পূরণের জন্য বাথরুম ও গোলার ঘরের সংযোগস্থানে ১১০ ফিট গভীরতায় সাব-মার্সিবল (ভূগর্ভস্থ) পাম্প স্থাপন করেন। বছর খানেক সেখান থেকে ভাল পানি পাওয়া যায়। এরপর পাম্পটি পুড়ে যায়। পরবর্তীতে কয়েকদফা নতুন পাম্প বসানো হয়। কিন্তু প্রতিটি পাম্প ৬/৭ মাসের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি বলেন, পরে ২০১২ সালে ওই বোরিং এর মধ্যে দেড় ইঞ্চি পাইপ প্রবেশ করে ৬০ ফুট গভীরতায় নলকূপের সাহায্যে পানি বের করা হয়। কিন্তু ওই নলকূপ থেকে কিছু সময় ভাল পানি পাওয়ার পর ঘোলা ও লালচে রঙের খাওয়ার অনুপযোগী পানি বের হতে থাকে।

বর্তমান শুকনো মৌসুমে পানির স্তর আরও নিচে নেমে যাওয়ায় গ্রামে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। এ অবস্থায় শুক্রবার বোরিংটি সংস্কার ও গভীর করে নতুনভাবে পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়। দুপুর ১টার দিকে কাদা মাটির সাথে পানি মিশ্রিত জ্বালানি তেল জাতীয় পদার্থের সন্ধান মেলে। বর্তমানে দড়ির সঙ্গে বোতল বেধে বোরিংটির ৩৬ ফুট গভীরতা থেকে পানি মিশ্রিত জ্বালানি তেলের গন্ধযুক্ত তরল পদার্থের নমুনা তুলে উৎসুক মানুষ বোতল ভরে নিয়ে যাচ্ছেন।

নলকূপ মিস্ত্রি জয়নাল আবেদিন বাবু  ও বিডিআর সদস্য খাতিজার রহমান দাবি করেন, শুক্রবার দুপুরে উত্তোলিত তরল পদার্থে ম্যাচের কাঠি দিলে আগুনের শিখা জ্বলে ওঠে।

পার্বতীপুরের ইউএনও তরফদার মাহমুদুর রহমান  খবর পেয়ে  দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে জ্বালানি তেল পরীক্ষা ও নির্ণয় করার জন্য ল্যাব রয়েছে। কয়লা খনি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর পর তারা এসে পরীক্ষা করার জন্য নমুনা নিয়ে গেছে। পরীক্ষার পর জানা যাবে সেখানে পানির সঙ্গে জ্বালানি তেল না অন্য কিছু বের হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে