14137949_1268750759810164_7-696x228

বিডি নীয়ালা নিউজ( ২৭ই আগস্ট ২০১৬ইং )-ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশে সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি হামলার অন্যতম হোতা ও গুলশান হামলার মাস্টার মাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী তার দুই সঙ্গী শনিবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশের ‘হিট স্টং’ অভিযানে নিহত হন। জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিকত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশে আইএসের কথিত এই প্রধান সমন্বয়কারীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামে। সেখানে আপন বলতে রয়েছেন তামিমের এক চাচী। তিনিসহ গ্রামবাসী তামিমের কর্মকাণ্ডে এতোটাই ক্ষুব্ধ যে, নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই শীর্ষ জঙ্গির মরদেহ কোনোভাবেই গ্রামে প্রবেশ করতে দেবেন না।

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর ছেলে শফি আহমদ চৌধুরীর পুত্র তামিম। তার বাবা মজিদ চৌধুরী ছিলেন একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য। তবে তামিম কখনো বিয়ানীবাজারের বাড়িতে আসেননি৷ জন্মের বহু আগেই তামিমের বাবা ও মা কানাডা সেটেল করেন।

তামিম আহমেদ চৌধুরীর জন্ম জন্ম ১৯৮৬ সালে। গত রোববার তার বাবা মারা গেছেন। বাবা-মায়ের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ ছিল না বলে জানা গেছে। তামিম বিবাহিত৷ তিন সন্তানের বাবা তিনি।

তামিমের পৈত্রিকবাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তার চাচী আঙ্গুরা বেগম থাকেন। তিনি বলেন, তামিমের বাবা-মা দেশ ছেড়েছে ৪০ বছর হলো। তাদের সঙ্গে আমাদের কারও কোনো যোগাযোগ নেই। যাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তাদের সম্পর্কে কথা বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।

তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ায় তার কোনো কিছু যায় বলেও জানান ওই বৃদ্ধ।

 

পু।প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে