mijanur-rahman (1)

বিডি নীয়ালা নিউজ(৩১ই মার্চ১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ড. মিজানুর রহমান বলেছেন,  তনু হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর এরকম ধারণা সৃষ্টি হতে পারে যে কিছু কিছু সাক্ষ্য বা প্রমাণ  টেম্পারেড করা হয়ে থাকতে পারে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে যা বিচার প্রক্রিয়াকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে দিতে পারে বা প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত করতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। তাহলে যে বা যারা সাক্ষ্য প্রমাণকে কোনো না কোনোভাবে পরিবর্তন করছে তাদেরকেই বিচারের আওতায় নিয়ে আসা বাঞ্ছনীয় বলে আমরা মনে করি। ন্যায়  বিচারের স্বার্থেই এ কাজটি করা উচিত।’

তিনি আরো বলেন,  যে জায়গাটিতে তনুর নিথর দেহটি পড়ে ছিল এটি জঙ্গলের মধ্যে হলেও সে জায়গাটি এখন এমন পরিস্কার রয়েছে মনে হয়ে যেন কাউকে সদ্য কবর দেয়া হয়েছে। এটি কিন্তু প্রশ্নের জন্ম দেয়। যদি সে জায়গাটির মাটি কেউ তুলে নিয়ে থাকে এবং নতুন মাটি যদি ভরাট করা হয়ে থাকে এর মাধ্যমে কিন্তু অপরাধের অনেক সাক্ষ্য বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। এটি তদন্তের কাজকে আরো জটিল করে দিতে পারে এ আশংকা আমাদের মনে রয়েছে। তনু হত্যা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

সেনানিবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা মামলার তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। সার্কিট হাউজে মামলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান ড. মিজানুর।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সার্কিট হাউসে তনু হত্যা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এর আগে সকালে তিনি কুমিল্লা সেনানিবাসের সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের স্থানটি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি তনুর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন এবং সেনানিবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কুমিল্লা সার্কিট হাউসে মতবিনিময়ের সময় জেলা জজ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে