বহুলপ্রতিক্ষীত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করতে এডিবি অর্থ দেবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মহাসড়কে চালকের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রাজধানীর বনানী বিআরটিএ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভা শেষে এসব তথ্য দেন।

মন্ত্রী জানান, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সভাপতি করে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ টাস্কফোর্স কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই সরকার বদ্ধ পরিকার জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কথা ঠিক নয় যে, আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব না। আমরা ইতিমধ্যে বহুক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও আইন বাস্তবায়ন করেছি। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাবই আমরা।

মন্ত্রী যোগ করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আলাদা সার্ভিস লেন তৈরি করতে প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ অন্য মহাসড়ক যেহেতু চারলেন নয়, তাই চারলেন করার সময় সার্ভিস লেনের পরিকল্পনা করেই তৈরি করা হবে।

টাস্কফোর্সের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে সড়ক পরিবহন আইন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে সবাইকে জানান হবে।

পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশ দিয়ে ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি কন্ট্রোল সম্ভব নয়। মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে সমস্যার সমাধান হবে না। সড়কে দুর্ঘটনা লেগেই থাকবে।

তবে সড়কে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডাম্পিং স্টেশন নেই। গাড়ি জব্দ করে রাখারই জায়গা নেই। এটা নির্মাণ করলে নিয়ম না মানা গাড়িকে জব্দ করা গেলে বিশৃঙ্খলা কমে আসবে।

ঢাকায় পার্কিং ছাড়া ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়া উচিত হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এটা করতে না পারলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

তিনি যোগ করেন, আইন না মানার কারণে সেবা সংস্থার পরিবর্তে ডিএমপি রাজস্ব আদায়ের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই না ডিএমপি একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হোক।

সভায় উপস্থিতি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন, সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, পরিবহন মালিক নেতা ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।

সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা, মালিক ও পরিবহন শ্রমিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে