?

কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী থেকেঃ নীলফামারী ডোমারে মোবাইল ফোন নাম্বার দেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের ৪(চার) সদস্যকে বেধম মারপিট করার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের হুমায়ুন কবীর রঞ্জুর কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করার ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে একই ওয়ার্ডের উত্তর মটুকপুর গ্রামের মৃত কামিনী রায়ের ছেলে বিমল চন্দ্র রায়(৫৮), বিমল চন্দ্রের স্ত্রী সমারী বালা(৪৫), ছেলে বাসুদেব রায়(২২), মেয়ে মনিকা বালা(১৬)কে বিকালে মোবাইল ফোনে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে তার মালিকানাধীন কেমি মৎস্য হ্যাচারীতে রঞ্জু ও তার বড় ভাই আরিফের রব্বানী লাজুসহ তাহার পরিবারের লোকজন বেধরক মারপিট করে বাসুদেবকে ঘড়ের ভেতর আটক করে রাখে। পরে পুলিশ বাসুদেব রায়কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ডোমার থানায় নিয়ে যায় এবং অন্যান্যদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।

এ ঘটনায় বিমল চন্দ্রের ভাই শান্তিপদ রায় বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে শনিবার রাতে ডোমার থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে রবিবার(১৭মার্চ) দুপুরে হুমায়ুন কবীর রঞ্জুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।এ সময় ওই হ্যাচারী থেকে বিমল চন্দ্র রায়ের ব্যবহৃত একখানা বাই সাইকেল, দুটি মোবাইল সেট ও মারধর করার আলামত উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে রঞ্জুর বড়ভাই আরিফের রব্বানী লাজু বলেন,আমার ছোট ভাইয়ের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের মোবাইল নাম্বার অন্য ছেলেদের দিয়ে বাসুদেব রায় ফোন করে উত্তক্ত করায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হ্যাচারীতে ডেকে নেয়া হয়েছে, আমার ছোট ভাই রঞ্জু দুই একটি চড়-থাপ্পড় দিয়েছে। বিমল চন্দ্রের স্ত্রী ও মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, সেখানে অনেক লোকের ভির থাকায় কে বা কাহারা মেরেছে আমি দেখি নাই। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকছেদ আলী মামলা এবং একজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে