2

বিডি নীয়ালা নিউজ(৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৬) আজিজ খান. গোলাপগঞ্জ(সিলেট)প্রতিনিধি : আগামী ডিসেম্বরে দেশের ৬৪ জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি গুছিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা প্রণয়নে ব্যস্ত রয়েছে সংস্থাটি। ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি। পাঁচ বছর মেয়াদী জেলা পরিষদগুলোতে বর্তমানে অনির্বাচিত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। ইসি’র নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার বিশ্বস্ত সূত্রগুলো জানা যায়, ডিসেম্বরের শেষভাগেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে বিভিন্ন বিধান প্রণয়নের সঙ্গে সঙ্গে মনোনয়ন ফরম কেমন হবে, তা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই হয়তো বিধিমালা প্রণয়নের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেটের  রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী ও সতন্ত্রপ্রার্থী ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বলেন হাইকমান্ডের নির্দেশনা পেলে নির্বাচন অংশ নেব। তবে অন্য স্থানীয় পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হলেও জেলা পরিষদের অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এ নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে এই জনপ্রতিনিধিদের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

স্থানীয় সরকারের অন্য সব পদে দলীয় ভিত্তিতে ভোট হলেও জেলা পরিষদে দলীয় প্রতীক থাকছে না। ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচনের জন্য ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণে বিধিমালা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় ১৫ জন সাধারণ ও পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যে কোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারলেও ভোট দিতে পারবেন না। আর জনপ্রতিনিধিরা ভোটার হলেও প্রার্থী হতে পারবেন না। পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন পরোক্ষ ভোটে । প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।

অনেক সতন্ত্রপ্রার্থী তাদের প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন। প্রায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিয়ময় করছেন পাশাপাশি তাদের প্রার্থীতার কথা বলে ভোট চাচ্ছেন ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে