ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানীতে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। এক মাস আগেও খামারের লাল ডিমের প্রতি ডজন ৬৬ থেকে ৭২ টাকা বিক্রি হলেও তা এখন বেড়ে তিন অংকে গিয়ে ঠেকেছে। কোথাও কোথাও তা ১১০ টাকা, এমকি ১১৫ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার মধ্যে কয়েক দফা দাম কমলেও ঈদের পর রাজধানীর বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ডিমের দাম। পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারে পিস প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা করে। অর্থাৎ হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ১২ থেকে ১৬ টাকা। আর ডজন প্রতি বেড়েছে ৩৪ থেকে ৪৫ টাকা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু ডিম বিক্রি করেন এমন ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ডিম ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর এক ডজনের কম নিলে প্রতি হালি ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫ টাকা। অপরদিকে মুদিদোকানে প্রতি পিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ৯ থেকে ১০ টাকা।

বর্তমানে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। যা রোজার মধ্যে ছিল ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। তবে ঈদের পর এক লাফে ডিমের দাম বেড়ে এ পর্যায়ে আসেনি। ঈদের পর কয়েক দফায় ডিমের দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার মধ্যে ডিমের চাহিদা কম থাকায় দাম বেশ কমে যায়। তবে ঈদের পর ডিমের চাহিদা বেশ বেড়েছে। যে কারণে দাম বেড়েছে।

এদিকে, খামারে ব্রয়লার মুরগির খাদ্য উপাদানের দাম বৃদ্ধিও এর অন্যতম কারণ। এর ফলে খরচ পোষাতে না পেরে প্রান্তিক অনেক খামারি ডিম উৎপাদন থেকে সরে এসেছেন। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। খামারিদের অভিযোগ, ডিম বিক্রিতে খামারিদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি লাভ করে খুচরা বিক্রেতারা। ফলে লাভের বেশির ভাগ ভোগ করে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা।

খামারি ও আড়ৎদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিটি ডিম উৎপাদনে খামারিদের খরচ হচ্ছে ৬ থেকে সাড়ে ৬ টাকা পর্যন্ত। খামারিরা প্রতিটি ডিম বিক্রি করছে ৭ টাকা পর্যন্ত দামে। আড়ৎদাররা পাইকারি বিক্রি করছে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকা।

পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হলে আমাদের কী করার আছে? এর জন্য মনিটর করতে হবে।

B/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে