T20-WC-ticket-sales
বিডি নীয়ালা নিউজ(৪ই এপ্রিল১৬)-স্পোর্টস ডেস্কঃ সদ্য শেষ হওয়া টি২০ বিশ্বকাপের সেরা একাদশঃ-

তামিম ইকবালঃ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এক সেঞ্চুরি ও এক হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে তার রান ২৯৫। দলকে সেমিফাইনালে না পৌঁছাতে পারলেও সবচেয়ে বেশি রান ও ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের সুবাদে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন এই একাদশে।

জেসন রয়: এই ইংলিশ ওপেনার ফাইনালে কোন রান করেই ফিরে না গেলে হয়তো ইডেনে শেষ হাসিটা ইংল্যান্ডও হাসতে পারতো। অন্তত,গোটা বিশ্বকাপের চিত্রটা তেমনই। ছয় ম্যাচে এক হাফ সেঞ্চুরি সহ করেছেন ১৮৩ রান।

মারলন স্যামুয়েলসঃ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। ছয় ম্যাচে করেছেন ১৮১ রান। ফাইনালে তার অনবদ্য অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংসের সুবাদেই শিরোপা জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে অনন্য এক ‘ক্যারেকটার’ এই ক্যারিবিয়ান।

বিরাট কোহলিঃ টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়ায় দলে তার জায়গা নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠার কথা নয়। তামিমের পর তিনিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (২৭৩)। আর চাপের মুখে অস্বাভাবিক ভাল ব্যাটিং করতে পারার অসামান্য দক্ষতাই তার সাফল্যের মূল রহস্য।

জো রুটঃ স্যামুয়েলসের দানবীয় ইনিংসটা না হলে হয়তো এই ক্রিকেটারের নামেই লেখা হয়ে যেতো ইডেনের ফাইনাল। ৫৪ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন, সাথে এক ওভার অফস্পিন বোলিং করে চমকে দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে, পেয়েছেন দুই উইকেট। দুই হাফ সেঞ্চুরি সহ গোটা বিশ্বকাপে তিনি করেছেন মোট ২৪৯ রান।

সাকিব আল হাসানঃ টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে থাকা এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপে ব্যাটিং কিংবা বোলিং – সব ডিপার্টমেন্টেই ছিলেন অনন্য। বাঁ-হাতি স্পিনে পেয়েছেন ১০ উইকেট। এর মধ্যে আছে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার সেরা ১৫ রান দিয়ে চার উইকেট। আর ব্যাটিংয়ে একটি হাফ সেঞ্চুরি সহ করেছেন ১২৯ রান।

জশ বাটলার (উইকেটরক্ষক)ঃ মূলত উইকেটরক্ষক হিসেবেই দলে তার জায়গা পাওয়া। তবে, তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছাড়িয়ে গেছেন ব্যাটিংয়ের দিক থেকে। ছয় ম্যাচে করেছেন ১৯১ রান। আর সেরা দশ রান সংগ্রাহকের মধ্যে তার ব্যাটিং স্ট্রাইক রেটই সবচেয়ে ভাল – ১৫৯.১৬!

ড্যারেন স্যামি (অধিনায়ক)ঃ প্রশ্ন উঠতে পারে, গোটা বিশ্বকাপেযিনি মাত্র ১৪ বলে মোটে আট রান আর তিন ওভার বোলিং করে উইকেটশুন্য ছিলেন তিনি কিভাবে এই একাদশে থাকেন তিনি কিভাবে বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকেন? – এই প্রশ্নের জবাব হল তিনি এবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। আর এরচেয়েও বড় ব্যাপার হল, মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে তার অধিনায়কত্ব এবার প্রশংসিত হয়েছে। ছয়টি ম্যাচের ছয়টিতেই টস জিতেছেন, এটাও তার ‘গুণ’ বলে বিবেচিত হতে পারে।

জেমস ফকনারঃ বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলেছেন। তাতেই তার আটটা উইকেট। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে একাই প্রতিপক্ষকে ধ্বসিয়ে দেয়া এই বাঁ-হাতি পেসার আছেন একাদশে। আর লোয়ার অর্ডারে তার ব্যাটিং ঝড়ের কথা কারোরই অজানা নয়।

ইশ শোধিঃ বলা যায় এই বিশ্বকাপের আবিষ্কার তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যে লেগ স্পিন বোলিং কার্যকর হতে পারে সেটা আরেকবার প্রমান করেছেন নিউজিল্যান্ডের এই তরুণ সেনসেশন। ২৩ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই পাঁচ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১০ উইকেট।

মুস্তাফিজুর রহমানঃ বাংলাদেশের এই বাঁ-হাতি পেসারের ব্যাপারে নতুন করে বলার কিছু নেই। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে তিনি মোটে তিনটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। আর ইনজুরি কাটিয়ে এসেই তিনি পেয়েছেন নয় উইকেট। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রান দিয়ে পাওয়া তার পাঁচ উইকেট বাংলাদেশের তো বটেই এই বিশ্বকাপেরও সেরা বোলিং ফিগার।

মহেন্দ্র সিং ধোনি (দ্বাদশ ব্যক্তি)ঃ একটু এদিক-সেদিক হলেই ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক চলে আসতে পারতেন এই একাদশে। তবে, সেটা হতে দেননি ড্যারেন স্যামি। পাঁচ ম্যাচে তিনি ৮৯ রান করেছেন; এর মধ্যে চারটিতেই ছিলেন অপরাজিত। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়েও তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ আটটি ডিসমিসাল করেছেন। প্রশংসিত হয়েছে তার অধিনায়কত্বও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে