images(5)

বিডি নীয়ালা নিউজ(০১ফেব্রুয়ারি১৬)-আসাদুজ্জামান সুজন (নীলফামারী প্রতিনিধি): তিন বন্ধু মিলে মাত্র ৪৮০ টাকার জন্য হত্যা করল তাদের আর এক বন্ধুকে।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা কালীগঞ্জ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ঘুটু ওই এলাকার বাদশাহ মামুদের ছেলে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) সকালে স্থানীয়রা বাঁশঝাড়ে শিশুটির লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে  জড়িত ৩ বন্ধুকে আটক করে। আটকৃতরা হলেন, আব্দুর রহমান বাবুর ছেলে মনোয়ার হোসেন (১৫), হযরত আলীর ছেলে সালা উদ্দিন (১৫), আইয়ুব খানে ছেলে টিটু (১১) । নিহত শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেনকে এ হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে চাঞ্চলকর তথ্য দিয়েছে আটককৃতরা।

আটকৃতদের  দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, রবিবার (৩১ জানুয়ারী) রাত প্রায় ৮ টার দিকে   কালীগঞ্জ বঙ্গবন্ধুহাটের ঝালমুড়ির দোকান বন্ধ করে বিক্রির ৪৮০ টাকা নিয়ে  বাড়ি যাওয়ার পথে  সাহেব উদ্দিন ঘুটুকে আটক করে ওই তিনজন। এরপর   ঘুটুর কাছে ৪৮০ টাকা ছিনিয়ে নিতে তাকে কৌশলে বিড়ি খাওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী ভুট্টাখেতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পথে ঘুটুকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় তারা। এরপর টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঘটুকে  শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পাশ্ববর্তী একটি বাঁশঝাড়ে গলায় মাফলার পেচিয়ে বাঁশের সাথে বেধে রেখে তারা নিজ নিজ বাড়ি চলে যায়। হত্যা কান্ডের এক পর্যায়ে সহপাঠি ওই এলাকার আইয়ুব খানের ছেলে টিটু বাড়ি থেকে বাজার আসার পথে তাদেরকে দেখতে পায় এবং সেও এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে জলঢাকা থানা তদন্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন শেখ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দেহ ভাজন ওই সহপাঠি ৩ জনকে তাদের বাড়ী থানায় নিয়ে আসি। পরে নীলফামারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। তিনি আরও জানান, শিশুটির পিতা বাদশা মামুদ বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে