ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় তাঁর সরকার জামায়াত-ই-ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার জনদাবি বাস্তবায়ন করতে পারছে না।

গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই কুখ্যাত রাজনৈতিক দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। যতক্ষন পর্যন্ত না এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়, ততক্ষন পর্যন্ত আমরা (সম্ভবত) এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারব না। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি শিগগিরই আদালতের রায় পাই, তাহলে রাজনৈতিকদল হিসাবে জামায়াত বেআইনি হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগন জামায়াতকে বর্জন করেছে এবং বর্তমানে এই দলটির বিরুদ্ধে দেশে একটি প্রবল জনমত বিরাজ করছে। তিনি বলেন, বিএনপির আশ্রয় নিয়ে এই দলটি বিগত সাধারণ নির্বাচনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে এবং বাংলাদেশের জনগনও তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশনের শর্তাবলী পূরণ করতে ব্যার্থ হওয়ায় দলটি কমিশনের নিবন্ধন পায়নি।

তিনি বলেন, যুদ্ধাপারাধীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দালাল হিসেবে কাজ করেছে এবং হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মতো জঘণ্য কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের আইনের আওতায় এনেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর জিয়াউর রহমান তাদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ-১২ বিলোপ এবং অনুচ্ছেদ- ৩৮ আংশিক সংশোধন করে জিয়াউর রহমান তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ এবং নাগরিক অধিকার দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং অন্যান্য নাশকতার মামলার পলাতক অভিযুক্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে