ডেস্ক রিপোর্টঃ ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম। এছাড়া তেলাপিয়া মাছ উদপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ, মুক্তজলাশয়ের আহরণে তৃতীয় এবং বদ্ধজলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থান অধিকার করেছে। অন্য দিকে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদিত হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার টনে। আজ বুধবার মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে ২৭তম ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান একথা জানান।
আজ ১৭ জুলাই থেকে দেশব্যাপি শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯। সপ্তাহটি চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মৎস্য সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং মৎস্য খাতে অবদানের জন্য নির্বাচিত ১৭ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ‘জাতীয় মৎস্য পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান করবেন বলে মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে। তিনি ( প্রধানমন্ত্রী ) এদিন সকাল ১১টায় গণভবনের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করবেন।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আজ রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।সংবাদ সম্মেলনের আগে সকাল ৮টার দিকে এ উপলক্ষে মৎস্য প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মৎস্যভবন থেকে শুরু হয়।
শোভাযাত্রাটি কাকরাইল মোড় হয়ে, দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে দিয়ে গিয়ে শিল্পকলা একাডেমির পাশ দিয়ে পুনরায় মৎস্য ভবনে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ঢাক-ঢোল-বাদ্যের তালে তালে বিভিন্ন শ্লোগান উচ্চারিত হয়। এসময় বিভিন্ন পোস্টার-ফেস্টুন বহন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছরের মধ্যে বর্তমান সরকারের আমলেই প্রথম এসব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। খাদ্য ও মাংসের পাশাপাশি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথমবার মাছের উৎপাদনেও দেশ স্বয়ম্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এমনকি দুষ্প্রাপ্যপ্রায় ইলিশের উৎপাদনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রেকর্ডভঙ্গ করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫ লাখ ১৭ হাজার টন ইলিশমাছ উৎপাদিত হয়েছে ।
তিনি বলেন, ইলিশ সম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে জেলেদের সঞ্চয়ী করার পাশাপাশি তাদের আপদকালীন জিবীকা নির্বাহের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি ‘ইলিশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ তহবিল’ গঠন করা হয়েছে।
মৎস্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সমুদ্র সম্পদকে যথাযভাবে কাজে লাগাতে নিজস্ব গবেষণা ও জরিপ জাহাজ আরভিমীন সন্ধানীর মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে ৪৩০ প্রজাতির মৎস্যসম্পদের সন্ধান পেয়েছে। এরমধ্যে ৩৬০ প্রজাতির মাছ, ৩৩ প্রজাতির চিংড়ি, ২১ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ১২ প্রজাতির মোলাস্কা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে