2

নিলফামারী প্রতিনিধিঃ এখন চলছে শুষ্ক মৌসুম, তবুও থেমে নেই তিস্তার ভাঙ্গন। নীলফামারীর জলঢাকায় তিস্তা নদীর পানি কমে গেলেও শুষ্ক মৌসুমেও দেখা দিয়েছে ডান তীর বাঁধের ভাঙ্গন। আর এ বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী ২টি ইউনিয়নের প্রায় ৫টি গ্রাম। ভাঙ্গন এলাকায় এখন দ্রুত প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে বাধ সংস্কার কাজ।

জানাগেছে, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে শহর রক্ষার ও স্পার বাঁধ। আর এই স্পার ও শহর রক্ষা বাধ শুষ্ক মৌসুমে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে উপজেলার, শৌলমারী, ডাউয়াবাড়ী, ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের হাজার হাজার পরিবার বসবাসের জন্য বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।

শৌলমারী বাঁধপাড়া এলাকার আতিয়ার জানায়, বর্ষা মৌসুমে তিস্তা এ এলাকার প্রায় ৫ হাজার ৫শত একর জমি গ্রাস করেছে। কোন রকমে দিন যাপন করছে ফসলি জমি হারানো কৃষকরা। সেই সাথে তিস্তার সেচ ক্যানেলগুলোর ও একই অবস্থা। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে যদি এই স্পার ও শহর রক্ষা বাঁধসহ তিস্তার সেচ ক্যানেলগুলো সংস্কার করা না হয়, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে এলাকার কৃষকদের। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলার শৌলমারী, ডাউয়াবাড়ী, ইউনিয়নের তিস্তা নদী শাষন বাঁধ ভেঙ্গে শহর রক্ষার বাঁধে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গেল বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রায় ৩০লাখ টাকা ব্যয়ে বাধ মেরামতের নামে বাশঁ এর স্পার, ব্লক,বালির বস্তা,ফেলে শহর রক্ষার বাঁধ স্পার বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করে। তবে তা কোন কাজেই আসেনি। বরং ভাঙ্গন তীব্র হয়।

ডাউয়াবারী এলাকার আলম নীলফামারীনিউজ-কে বলেন, নদীর পানি বাড়লে ভাঙ্গন বেশী হয় আর পানি কমলেও ভাঙ্গনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছিনা। তাতে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা বর্তমান সময়ে জরুরী ভিত্তিতে মেরামত না করলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বাঁধ বিলীন হয়ে গেলে হাজারও পরিবারের ক্ষতি হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গেল বর্ষা মৌসুমে ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধ মেরামত ও সংস্কারের কাজ করলেও তা পানিতে বিলিন হয়ে যায়।

ফলে কাজের কাজ কিছু হয়নি। গোলমুন্ডা এলাকার মুকুল বলেন, এই শুষ্ক মৌসুমে বাধটি সংস্কার ও মেরামতের উদ্যোগ না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ চন্দ্র নীলফামারীনিউজ-কে বলেন, যেভাবে তিস্তার ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তা খুবই ভয়াবহ, কর্তৃপক্ষ বর্তমান সময়ে বাধ মেরামতের ব্যবস্থা না নিলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হবে। বাঁধ এলাকায় বসবাস কারীদের দাবী দ্রুত বাঁধ মেরামত করার ব্যবস্থা করা হউক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে