ডেস্ক রিপোর্টঃ লুনার ভিআর প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই চাঁদের অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। আর এ প্রজেক্টের জন্যই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব অর্জন করল টিম অলিক। টিম অলিকের এই লুনার ভিআর প্রজেক্টটি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ্লিকেশন। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদ ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা পাবেন। নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে নাসা অ্যাপোলো-১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা ও চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা, এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে টিম অলিক।

বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেওয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপানের দলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব পান তাঁরা।

এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিক ফলাফলে বিশ্বের ৭৯টি দেশের প্রায় দুই হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের দুটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে উঠে আসে বাংলাদেশ।

টিম অলিকের দলনেতা আবু সাবিক মাহদি বলেন, ‘প্রথমবার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি আমাদের মডারেটর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী ও বেসিসের প্রতি কৃতজ্ঞ। এখন আমাদের প্রতি বাংলাদেশের সবার অনেক প্রত্যাশা। আমরা বাংলাদেশকে আরো উঁচুতে আসীন করতে চাই।’

বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এবার দুই হাজার প্রকল্প থেকে বাছাই করে সেরা ৪০টি প্রকল্প নাসার জন্য মনোনীত করা হয়। বাংলাদেশের নয়টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) আয়োজিত হয় এটি।

ছয়টি ক্যাটাগরির ছয়টি চ্যাম্পিয়ন দল নাসায় যাওয়ার এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবে।

P/B/A/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে