চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণে গঠন করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ড। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১-এর ৭ ধারা অনুযায়ী এটি গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের নাম।

সেখানে দায়িত্ব পেয়েছেন জনপ্রিয় দুই চলচ্চিত্র শিল্পী মিশা সওদাগর ও পূর্ণিমা। শিল্পী সমিতির সভাপতি পদাধিকারে এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন মিশা আর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি হিসেবে বোর্ডে আছেন সোহানুর রহমান সোহানও।

বিশিষ্ট চলচ্চিত্র-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নায়িকা পূর্ণিমার পাশাপাশি এ ট্রাস্টি বোর্ডে আরও জায়গা পেয়েছেন অভিনেতা শহিদুজ্জামান সেলিম।

বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান থাকবেন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ট্রাস্টের সদস্যসচিব করে প্রকাশ করা হয়েছে ১৪ সদস্যের কমিটি।

ট্রাস্টি বোর্ডের বাকি ১১ জন সদস্য হলেন-

১. মাননীয় স্পিকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একজন মাননীয় সদস্য অথবা অন্য যেকোনো একজন মাননীয় সংসদ সদস্য।

২. সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

৩. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক মনোনীত এর কমপক্ষে মহাপরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা

৪. অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

৫. অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত এর কমপক্ষে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা

৬. সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত এর কমপক্ষে যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন

৭. ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন

৮. সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি

৯. সভাপতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি

১০. শহীদুজ্জামান সেলিম, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

১১. দিলারা হানিফ পূর্ণিমা, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব

ওই ট্রাস্টি বোর্ড বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১ মেনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের কাজ সম্পাদন করবে।

এ বিষয়ে নায়িকা পূর্ণিমা বলেন, ‘আমি আনন্দিত এই দায়িত্ব পেয়ে। চেষ্টা করবো শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করে যেতে।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইনে সেলুলয়েড, অ্যানালগ, ডিজিটাল বা টেলিভিশনসহ অন্য যেকোনো মাধ্যমে নির্মিত চলচ্চিত্র, যেমন- পূর্ণদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, টেলিফিল্ম, প্রামাণ্যচিত্র, কার্টুনচিত্র, অ্যানিমেশনচিত্র অন্তর্ভুক্ত। এর আওতায় ‘চলচ্চিত্র শিল্পী’ অর্থ চলচ্চিত্রে অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, লাইটম্যান, নৃত্যশিল্পী, ব্যবস্থাপক, ফাইটার, রূপসজ্জা শিল্পীসহ চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজে নিয়োজিত অন্যান্য কলাকুশলী এবং সরকার অনুমোদিত টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক নির্মিত ও টেলিভিশন চ্যানেলে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের অভিনয় শিল্পীসহ অন্যান্য কলাকুশলীরাও রয়েছেন।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে