vikkhuk

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৩জানুয়ারি১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ  ‘ভগবান কে নাম পে দে দো, ঠাকুর তোমার ভালো করবে, দুটো পয়সা দিন বাবু’—প্রতিদিন একই আওয়াজ, একই সুর। এই কাতর আর্তি শুনে চলতি পথে অনেকেই এক
টাকা, দুই টাকা, আবার কেউ বা পাঁচ, ১০ বা এর বেশি টাকাও দান করেন ভিক্ষুকের হাতে। কিন্তু কেউ কখনো ভেবে দেখেছেন, এই ভিক্ষার দান দুই-পাঁচ টাকা জমে জমে কত হতে পারে?

সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে এমন এক ভিক্ষুক পাওয়া গেছে, শুধু ভিক্ষাবৃত্তি থেকেই যাঁর মাসিক আয় লাখ টাকা। এটুকু শুনেই চমকে ওঠার কোনো কারণ নেই। আজকালকার বাজারে ভিক্ষাবৃত্তি করে দেশে অনেকেই প্রতিদিন এমন টাকা রোজগার করেন। তবে এখানে অন্য বিষয় আছে।
মধ্যপ্রদেশের এই ভিখারি আর পাঁচজন ভিখারি থেকে আলাদা। রীতিমতো চারচাকা গাড়িতে করে ভিক্ষা করতে আসেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের খারগাঁও অঞ্চলের এই হাই প্রোফাইল ভিখারির নাম রফিক।
রফিক নিজের মুখেই জানান, ভিক্ষা করে তাঁর মাসিক আয় এক লাখ টাকা। তাঁর দুঃখ একটাই, দুটি পা নেই। দুর্ঘটনায় কিশোর বয়সেই দুটি পা হারান তিনি। তাই গাড়িতে করে ভিক্ষা করেন। অবশ্য গাড়িটাই রফিকের সংসার। সপরিবারে গাড়িতে থাকেন রফিক। আবার গাড়ি চড়ে ভিক্ষাও করেন।
মধ্যপ্রদেশের খারগাঁওয়ের নবাগড় মন্দিরের সামনে প্রতিদিন ভিক্ষা করেন রফিক। তিনি জানান, প্রতিদিন তাঁর আয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা, যা এক মাসে লাখ টাকার অঙ্কে পৌঁছে।
রফিক জন্মসূত্রে ভারতের রাজস্থানের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় দুই পা হারানোর পর তিনি গাড়ি চালানো শিখে নেন। তার পর থেকেই ভিক্ষা শুরু করেন। বরাবরই ভিক্ষাবৃত্তিতে সুনাম রয়েছে রফিকের। কোনো কিস্তির ধার না ধেরে নগদ টাকায় গাড়ি কিনেছেন তিনি। স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে গাড়িতেই ছোট সংসার পেতেছেন রফিক। দিনভর ভিক্ষা শেষে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাত্রিযাপন করেন। দিনের আলো ফুটতেই ফের ভিক্ষাস্থলে যান। ভারতের বুকে রফিকই শুধু ব্যতিক্রমী নন, বেশ কিছুদিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে