মারুফ সরকার, বিনোদন ডেস্কঃ আপনাদের কাছে তুলে ধরবো সঙ্গীতশিল্পী ফাল্গুনী সজ্জনের কথা। কথা হয় এই সঙ্গীতশিল্পীর সাথে তার বর্তমান অবস্থান নিয়ে । কেমন যাচ্ছে তার বর্তমান সময় শুনুন আপনারা তার নিজ মুখে।। বিস্তারিত শুনুন নিজের মুখে।

গানের শুরুটা কবে থেকে এবং কিভাবে?
গানের শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই, বাড়িতে দিদি সারাক্ষণ গুন গুন করে গান গাইতো, ওর নাম বিজলী, ও নিজেও খুব ভালো গান গাইতো, তো দিদির মুখে গান শুনে সেখান থেকেই গানের প্রতি খুব আগ্রহ আর ভালোবাসা জন্মায়, তারপর গ্রামের নবদিগন্ত যুবসংঘ নামে এক সংগীত একাডেমী থেকে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক “মানিক চন্দ্র বর্মন” এর কাছ থেকে হাতেখড়ি নিই, তারপর যশোরের অন্যতম সুনামধন্য সংগীত একাডেমী “সুরধুনী সংগীত নিকেতন” এ ভর্তি হয়ে বেশ কয়েক বছর ক্লাস করি। এই একাডেমীর প্রিন্সিপাল সকলের খুবই শ্রদ্ধাভাজন, শ্রদ্ধেয় সংগীতগুরু “অর্ধেন্দু বন্দোপাধ্যায়”। যিনি আমাদের জেলা যশোর সহ বাংলাদেশের সংগীত বিকাশে বহুকাল ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন।

সংগীতের হাতে খড়ি কোন গানের মাধ্যমে ?
আমার প্রথম গান ছিল মনেরই ক্যানভাসে, যেটা আমার খুব প্রিয় বন্ধু বা ভাই যাই বলি না কেন স্যামজ্ শামীম ভাইয়ের সাথে ডুয়েট করেছিলাম। আসলে ওনার মাধ্যমেই আমার প্রথম গানের জগতে আসা, উনিই আমাকে প্রথম সুযোগ দিয়েছিলাম একেবারে নতুন হিসেবে গান গাওয়ার। সেই অর্থে শামীম ভাইয়ার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর গানটি লিখেছিলেন ভারতের এক দিদি “রিয়া বিশ্বাস” এবং সুর করেছিলেন রাকিব ভাইবা, গানটির সংগীত করেছিলেন প্রিয় একজন মানুষ মেহেদী বাপন ভাইয়া।

এখন কি নিয়ে ব্যস্ত?
এখন পড়াশোনা নিয়ে একটু ব্যস্ত, তবে খুব শিঘ্রই গানে মন দেব, হাতে বেশ কিছু কাজও আছে, শামীম ভাইয়ার সাথে কয়েকটা গান করার কথা আছে। তাছাড়া আরো বেশ কিছু কাজের অফার এসেছে সবমিলিয়ে কাজে রেগুলার হবো।

গান নিয়ে আপনার চুড়ান্ত ভাবনা কি?
আসলে আমার ভালোলাগার বা ভালোবাসার বিষয় হচ্ছে গান। আর গান নিয়ে ভালো কিছু করতে চাই এটাই আমার একান্ত কামনা।

প্রিয় অভিনয় শিল্পী কে আপনার?
আমার প্রিয় অভিনয় শিল্পী হচ্ছেন দুজন, একজন সর্বকালের সর্বসেরা কালজয়ী সালমান শাহ আর একজন হচ্ছেন আর এক কালজয়ী অভিনেত্রী শাবনূর। দুজনেরই খুব ভক্ত আমি।

জীবনে কোন কষ্ট আছে কি?
তেমন কোনো কষ্ট নেই, তবে গানের ব্যাপারে আমার পরিবার থেকে মানসিক ভাবে খুব একটা সাপোর্ট করে না, সেই জন্যে গানের জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া একটু কঠিন আর বেশ লড়াইয়ের এটা আমাকে খুব কষ্ট দেয়। তবে মানসিক ভাবে দিদি আমাকে খুব সাপোর্ট করে, আমার মন খারাপ থাকলে বা কষ্ট পেলে আমাকে সারাক্ষণ সামলায় এবং আগলে রাখে, ওর নাম মধুমিতা।

কোন ধরনে গান করতে বেশি ভালো লাগে?
সবধরনের গান শুনতেই খুব ভালোবাসি, তবে আধুনিক আর রবীন্দ্র সংগীত গাইতে ভালো লাগে।

আপনার নিজ জেলা কোনটা?
আামার জেলা যশোর।

প্রিয় রং? প্রিয় খাবার কি ?
প্রিয় রং সাদা ও পিঙ্ক, প্রিয় খাবার বলাটা একটু কঠিন, তবে চিংড়ি মাছ, ইলিশ, রসমালাই এগুলো খেতে ভালো লাগে।

কি করতে বেশি ভালো লাগে?
গান শুনতে, গান গাইতে আর গান নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে আর দিদির সাথে গল্প করতে, পরিবার আর বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে।

সর্বশেষ দর্শকদের উদ্দেশ্য যদি কিছু বলতে?
অবশ্যই,
সবাই আমার জন্য দোয়া বা আশীর্বাদ করেন যেন জীবনে ভালো কিছু করতে পারি, ভালো হয়ে চলতে পারি, ভালোবেসে গান গাইতে পারি আর গান নিয়ে ভালো কিছু করতে পারি।
ধন্যবাদ সবাইকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে