মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিথিঃ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ ” এরই আলোকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারা বাংলাদেশে ( রেশম কার্ডধারী)দের মাঝে ১০ টাকা দরে হতদরিদ্রদের মাঝে সরকার বছরে ৬ মাস তাদের ৩০ (ত্রিশ) কেজি করে চাল বিতরণ করে ডিলারদের মাধ্যমে। কিন্তু এখন সরকারের এ মহৎ উদ্দেশ্যো ভ্যেস্থে যেতে বসেছে। সরকার এ সব কার্ডধারীদের অনলাইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে তাদের গিয়ে অনলাইন করতে হবে। আর এই সুযোগে চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তাদের কাছ থেকে অনলাইন করার জন্য জনপ্রতি ৫শত ৫০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোট কার্ডধারী ৩ হাজার, নিতাই ইউনিয়নে ২ হাজার ৫শত জন, বাহাগিলি ইউপি ২ হাজার কার্ডধারী। প্রতিটি ইউনিয়নের মেম্বাররা কার্ডধারীদের কাছ থেকে ৫ শত ৩০ টাকা থেকে ৫শত ৫০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। টাকা না দিলে কার্ডে স্বাক্ষর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির ২ নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী বুলবুলি বেগম।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ০৭ নং ওয়ার্ডের বাসীন্দার মশিয়ার রহমান একজন কার্ডধারী তিনি বলেন আমাদের ওয়ার্ডের মেম্বার মোশারফ হোসেন সকলের কাছ থেকে ৫শত ৫০ টাকা করে নিয়েছে অনলাইন খরচের জন্য। আর যারা ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছে তাদের কাছ থেকে ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম মওলা ও ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউনুস আলী কার্ডদারীদের কাছ থেকে ৫ শত ৫০ টাকা করে নিয়ে, তারপরে অনলাইন করছে।

এ ব্যাপারে ওয়ার্ড মেম্বার গোলাম মওলার সাথে কথা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন হ্যাঁ আমরা টাকা নিচ্ছি কার্ডদারীদের কাছ থেকে ও ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোশারফ হোসেন ও টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং নিতাই ইউনিয়নের একই অবস্থা। নিতাই ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াডের সকল কার্ডধারীকে ৫ শত ৩০ টাকা করে নিয়ে পরিষদে যেতে বলেছেন মেম্বার মোনারুল ইসলাম। অপর দিকে ৪ নং বাহাগিলি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন পরিষদে মিটিং এ স্বীদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে রেশম কার্ডধারীদের কাছ থেকে ৫ শত ৫০ টাকা করে নেয়ার জন্য।

কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি গ্রেনেট বাবুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা নিচ্ছে। কিন্তু তারা কোন এস্যাসেমেন্ট না করেই শুধু মাত্র রেশম কার্ডদারীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে।

এ বিষয়ে বাহাগিলি ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রথমের দিকে আমরা টাকা নিয়েছি কিন্তু পরে জানতে পেরে তা বন্ধ করে দিয়েছি।

নিতাই ইউপি চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবুর মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে-আলম- সিদ্দিকির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ৮ আগস্ট তিনি মাইকিং করে দিয়েছেন যেন কোন কার্ডধারী ১ টি টাকাও যেন অনলাইন করার জন্য না দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে