মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নির্বাচনি প্রচারণায় রবিবার রাতে নৌকা প্রতীকের কর্মী তপন কুমার সরকারের মৃত্যু হত্যা না স্বাাভাবিক তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নে রবিবার রাতে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তপন কুমার সরকার(৭০) নির্বাচনী প্রচরণাকালে মারা যান। তার এ মৃত্যুকে উপজেলা আওয়ামীলীগ হত্যাকান্ড বলে দাবী করেন। রাতেই তাৎক্ষনিকভাবে দলের পক্ষ থেকে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও হাসপাতাল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে নেতা-কর্মীরা।

এ ব্যাপরে দলের মুখপত্র, আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বাহাগিলি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ্ দুলু বলেন, তপন কুমার ও আমরা কয়েকজন মাইক্রোবাসযোগে নির্বাচনী কাজে রাতে চেয়ারম্যানের বাজারে পৌছলে পিছন দিক থেকে তার সহোদর ছোট ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিপ্লব কুমার সরকার(৬৮) তার সন্ত্রাসী কর্মী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ২৫টি মোটরসাইকেল আমাদেরকে ঘিরে রাখে। এ হামলায় তপন কুমার সরকার মাটিতে লুঠিয়ে পরে। তাকে মুমূর্ষূ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ হাসপাতলে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপরে বিপ্লব কুমার সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই ঘটনাস্থলে আমার বড় ভাইয়ের সাথে দুর থেকে নির্বাচনী বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তখন আমরাও নির্বাচনী প্রচারণা কাজে ওই এলাকায় ছিলাম। হার্ডের রোগে আক্রান্ত হওয়া আমার অসুস্থ্য ভাইকে তারা জোড় করে নিয়ে এসে এমন পরিনতি হলো। স্বাভাবিক মৃত্যু না হয়ে যদি হত্যাকান্ড হয় তাহলে আমি খুনিদের বিচার দাবী করছি। এ ব্যাপারে তপন কুমার সরকারের বড় ছেলে রাহুল রাজের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট ছাড়া এটি হত্যাকান্ড না স্বাভাবিক মৃত্যু তা বলতে পারব না।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে লাশ পিএম এর জন্য পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। জিডি নং- ১২৮, তারিখ- ০৩/০৩/২০১৯।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে