মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর অপহরনের ৬ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উপরোক্ত অপহরনকারীরা মোটা অংকের টাকার দাবির পাশাপাশি মামলা না করার জন্য অপহৃত ছাত্রীর পরিবারকে হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত শনিবার বিকালে অপহৃত মেয়েটির বাবা বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। মামলা ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর বালাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদের মেয়ে হাদিকা আক্তার (১৫)। মেয়েটি এলাকার দক্ষিন মেলাবর দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী। গত ১৭ জুন সোমবার বেলা ৩ টার দিকে মেয়েটি মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল। পথে একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২৪) সহ তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে জোড়পূর্বক মেয়েটিকে উঠিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রীরা অপহরনের বাধা দেয়ার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়। এমনকি ওই পথ দিয়ে যাওয়া পথচারী মেলাবর গ্রামের তালেবুর রহমান (৪০) অপহরনকারীদের কাছ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
ঘটনার দিন বিকালে মেয়ে অপহরনের ঘটনা নিয়ে বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় তার মেয়ে অপহরনের ঘটনায় এজাহার দাখিল করে। মেয়েটির বাবা অভিযোগ করে জানায় অপহরনকারীরা মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় মামলা না করার জন্য হুমকী দিয়েছে। আমরা এখন নিরাপক্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পালের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, পুরো ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে