মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কিশোরীগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজে ডিগ্রি পাস (বিএ) পরীক্ষার ফরম পুরনে প্রথম বর্ষের শিক্ষাথর্ীদের কাছ থেকে বোর্ড নিধার্রিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষাথর্ীদের অভিযোগ কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই  ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে।কিশোরীগঞ্জ সরকারী কলেজ সুত্রে জানা গেছে, কিশোরীগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজে ডিগ্রী পাস (বিএ) কোর্সের প্রথম বর্ষে ২০৫ জন শিক্ষাথর্ী রয়েছে। অনিয়মিত শিক্ষাথর্ী রয়েছে প্রায় ৫০ জন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ফরম পুরনের শেষ তারিখ গত ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত। কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ জানান, সরকার নিধার্রিত ডিগ্রি পাস (বিএ) ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষার প্রথম বর্ষের ফরম পুরনের ফি ১১৫০ টাকা, ইনকোর্স ফি ৩০০ টাকা, অনলাইন ফি ১০০ টাকা ও পরীক্ষার ফি বাবদ ৩০০ টাকা এবং মাসিক বেতন ১২০ টাকা হারে শিক্ষাথর্ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। কলেজের একজন সিনিয়র শিক্ষক জানান, সরকারীভাবে নিধার্রিত ফির চেয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ নীতিমালা পরিপন্থি হয়ে শিক্ষাথর্ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ফরম পুরনকারী একাধিক শিক্ষাথর্ী অভিযোগ করে বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ ফরম পুরনের নামে প্রতি শিক্ষাথর্ীর কাছ থেকে কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই ৩ হাজার  থেকে ৩৮ শ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন। টাকার রশিদ চাইলে তিনি রশিদ প্রদান করতে অনীহা প্রকাশ করেন।কিশোরীগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ বলেন, ফরম পুরনের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সরকার নিধার্রিত ফির চেয়ে একটু বেশি ধরা হয়েছে। কারন ফরম পুরনের সময় অনেক শিক্ষাথর্ী টাকা কম দিতে চায় আবার অনেকের সুপারিশ রাখতে এমনটি করা হয়েছে। ফরম পুরনের টাকা নিয়ে রশিদ দেননি কেন প্রশ্ন করলে তিনি এর কোন উত্তর দেননি।  উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার কোন বিধান নেই। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। 

কিশোরগঞ্জে দুর্গা পূজা মন্ডপের চাল বিক্রি লাখ লাখ টাকা সিন্ডিকেটের পকেটে
মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ  নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চত্রেুর কারসাজিতে ১৩৪ দুর্গাপূজা মন্ডপে অনুদান হিসাবে ৬৭  মেট্রিক টন সরকারি চাল লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতিবাজ এই সিন্ডিকেট চক্র উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের অসাধু সদস্য ও সরকারী খাদ্য গুদামের কিছু অসাধু কর্মকতার্ কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজস করে বিভিন্ন পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গুরত্বর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্র কাযার্লয় সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার তালিকাভুক্ত ১৩৪ টি পুজা মন্ডবের জন্য শারদীয় দুগার্ পুজা উপলক্ষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নীলফামারী জেলা প্রশাসকের  কাযার্লয় থেকে ৪৬৫ নং স্বারক মুলে ৬৭ মেট্রিক টন জি আর চালের বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত চাল প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি ও সম্পাদকদের নামে ৫০০ কেজি হারে চালের ডিও প্রদান করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি মূল্য ৩৬ টাকা কেজি হিসাবে ৫০০ কেজি চালের বাজার মুল্য ১৮ হাজার টাকা। কিন্তু উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপজেলা ডিও ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে নামমাত্র মুল্যে সেই চাল বিক্রি করে প্রত্যেক পুজা মন্ডবের সভাপতি ও সম্পাদকদের হাতে ৮ হাজার ৫শ করে টাকা বিতরন করেন। বড়ভিটা জুড়াবান্ধা সার্বজনিন পুজা মন্ডবের সভাপতি শ্রী ডালিম চন্দ্র জানান, উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাযার্লয় থেকে সরাসরি প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের নামে ডিও হলেও উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির নেতারা আমাদের কাছ থেকে ডিও নিয়ে ৮ হাজার ৫ শ টাকা করে দিয়েছে। ওই ৮ হাজার ৫শ টাকা থেকে আরো ৫ শ টাকা করে কেঁটে নিয়েছেন নেতারা। রণচন্ডি ইউনিয়নের সোনাকুড়ি সার্বজনিন পুজা মন্ডবের সভাপতি সুবাস চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের নামে ডিও হলে পুজা উৎযাপন পরিষদের নেতারা আমাদের কাছ থেকে ডিও নিয়ে ৮ হাজার ৫ শ টাকা দিয়েছে। তার মধ্যে ৫ শ টাকা তারা কেঁটে নিয়েছেন। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পুজা মন্ডবের তালিকা তৈরিতেও অভিযোগ করেছেন হিন্দু ধমার্লম্বিদের অনেকে। তারা অভিযোগ করে জানান, যে সমস্ত পুজা মন্ডবে ১৫ টি হিন্দু পরিবার পুজা করে তারা সরকারী বরাদ্দ পেয়েছেন , অথচ ৫০ থেকে একশোটি পরিবার পুজা করে এরকম মন্ডব   তালিকায় না আসায় তারা সরকারী বরাদ্দ পায়নি।  গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের আরাজি গাড়াগ্রাম শ্যামাপুজা কালিন্দিরের সভাপতি প্রমথ চন্দ্র রায় বলেন , আমাদের পুজা মন্ডবটিকে একশোটি পরিবার পুজা করে তারপরও আমরা সরকারী তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কোন অনুদান পাইনি। উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক ফনি ভুষন মজুমদার বলেন, বর্তমান বাজার মুল্যে চাল বিক্রি করে সব পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদকদের হাতে টাকা দেয়া হয়েছে। ৫ শ করে টাকা কেঁটে নেওয়ার কথা স্বীকার তিনি বলেন বিভিন্ন খরচ বাবদ ওই টাকা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহম্মেদ বলেন, উপজেলা নিবার্হী অফিসারের সিদান্ত অনুযায়ী প্রতিটি পুজা মন্ডবের সভাপতি সম্পাদককে চিহ্নিত করে ডিও প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুজা মন্ডবের চাল বিতরনের ক্ষেত্রে কোন অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে