clinic

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের নেয়া উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার।

ডাক্তারশূন্য অবস্থায় চলছে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। এতে সরকারের মহতী উদ্যোগে ভাটা পড়েছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে একজন করে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ থাকলেও তারা কেউই সেখানে রোগী দেখেন না। এ ডাক্তাররা বিভিন্ন কৌশলে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেপুটেশনে চাকরি করেন। ফলে এসব এলাকার গরিব ও অসহায় রোগীরা চিকিৎসাসেবা নেয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তার দাবি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তাররা গ্রামে চাকরি করতে আগ্রহী নন তাই তারা বিভিন্ন কৌশলে বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। আবার অনেক সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকটের কারণে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারদের ডেপুটিশনে এনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সরকার গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। এরই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে মাগুরা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, বড়ভিটা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, মুশরুত পানিয়াল পুকুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও একজন পিয়ন থাকার কথা কিন্তু অধিকাংশ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এমবিবিএস ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট ও পিয়ন পদে কোনো জনবল নেই। ফলে গ্রামীণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার সরকারের অঙ্গীকার ভেস্তে যেতে বসেছে। ব্যবহৃত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গাউছুল আজিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বললে তিনি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি কয়েক দিন আগে মাগুড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার একাই ১০০ থেকে দেড়শ রোগীর চাপ সামলাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, শুধু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডাক্তার সংকট রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে