মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে চারালকাটা নদী সোজা কারণের বালি ও মাটি হরিলুট চলছে। হাংবের এলাকার কিছু বালু দস্যুরা ও অফিসের লোকদের ম্যানেজ করে এ কাজটি করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করছে।

৩ নং নিতাই ইউনিয়নে গাংবের এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে চারালকাটা নদী। যা ১৬ কিঃ মিঃ ঘুরিয়ে আবার এসে সংযোগ হয়েছে বুড়িতিস্তা নদী বেলতলী বাজারের কাছে। তাই পানি উন্নায়ন বোর্ড সৈয়দপুরের উদ্যোগে চারালকাটা নদীর ৬৫.৮০০ কিঃ মিঃ থেকে ৭৬.০০০ কিঃ মিঃ মোট ৭ শত ৫০ মিটার চার ফসলা জমি নষ্ট করে কৃষকদের উপর অমানবিক কাজ করা হয়েছে।

কাজটি করছে বরগুনা উপজেলার মের্সাস আল মামুন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, হোল্ডিং নং- ০৭, ওয়ার্ড ০২, পুলিশ লাইন রোড। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।

সৈয়দপুর পানিউন্নায়ন বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত প্যাকেজ নং -লুপ-১/চারালকাটা/ সৈয়দপুর, যার চুক্তিমূল্য ২ শত ৩৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। কাজ শুরুর তারিখ ১৩/০৯/২১ ইং ও শেষ করার তারিখ ১০/০৬/২২ ইং পর্যন্ত দেওয়া রয়েছে। তিন্তু এখন পর্যন্ত ২৫ % কাজও করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ঐ এলাকার জাহেদুল, রফিকুল, শফিকুল ও সেরাজুলসহ আরো অনেকে নাম প্রকাশ করার শর্তে তারা বলেন সকাল থেকে দিন-রাত সমান তালে বালি ও মাটি হরি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে ঐ এলাকার কিছপয় বালুদস্যুরা কিন্তু দেখার কেউ নেই।

শনিবার বিকালে গিয়ে দেখা য়ায়, একসাথে সেখানে ১৫/২০ মাহিন্দ্র ট্রলি করে বালু মাটি নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় নিতাই এলাকার একড্রাইভার যার সময় এখন ১৮ বছর হয়নি সে চালাচ্ছে মাহিন্দ্রা গাড়ী কখন দূর্ঘটনা হবে কেউ যানে না। ড্রাইভারের নাম শাহিন(১৭) পিতাঃ রবিউল ইসলাম, সে নিতাই ঠকপাড়া এলাকার আব্দুল হালিম মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনের একটি মাহিন্দ্র চালায়। তাকে দাঁড় করিয়ে তার পরিচয় ও ড্রাইভারকে বালু সম্পের্কে জানতে চাইলে সে তার মালিক সাব্বিরকে ফোন করে। সেখানে সাব্বির ও জাকির নামের দুজন এসে উল্টো ৯৯৯ নাম্বারে ফোনদেয়। তখন একটি কিশোরগজঞ্জ থানা এস আই রশিদ সাংবাদিককে ফোন করে বলেন বেলতলি বাজারে কোন বালুর গাড়ী আছে নাকি তার পড়ে ফোনটি কেঁটে দেন। তাতে বোঝা গেল চোড়ের মায়ের বড় গলা। বালু চুরি করে নিয়ে গেল আবার তারাই ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেয়। যেন প্রশাসনের কোন ক্ষমতাই নেই। দিব্বি সে বালুর গাড়ী নিয়ে চলে গেল। এই ছেলেটি থাম নামে একটি গেম বর্তমানে নিতাই ইউপিতে খুবেই ভাল চলছে। অল্প দিনের মধ্যে সে অনেক টাকার মালিক হয়েছে অথচ সে এখনো নীলফামারী সরকারী কলেজের ছাত্র বলে জানা যায়। ওপর এক ড্রাইভারকে সাবু পিতাঃ জাশিয়ার, গড়ীর মালিক মোনায়েমের সাথে কথা বললে তিনি এ বালু এখানকার নয়। পাগলার বাজার পাড়হয়ে শরিফুল নামে এক ছেলের কাছ থেকে বালু এনেছে। যা সম্পূর্ণ সরকারী সম্পত্তি শরিফুর তা নিজের মত করে বিক্রি করছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শাখা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বলেন আমরা থাকলে কেউ আসেনা। কিন্তু তা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা তার সামনেই বালু ও মাটি বিক্রি করছে যার এতটা হিস্সা তিনিও পান। না হলে কিভাবে সরকারী বালি চুরির হবার কোন সম্ভবনা নাই। অভিযোগের বিষয়ে বললে তিনি বলেন ৪ /৫ দিন আগে আমি থানায় একটি অভিযোগ করেছি। সেটাও দায় সারা যাতে তার নাম কেউ বলতে না পারে এর মোটা অংশ টাকা তার পকেটেও যায়। তার সামনদিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে কিন্তি তিনি কিছুই করতে পাড়ছেন না।

এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মোঃ মোফাককারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা ইউ এন এ মহদয়কে বলেছি ওনারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, জেল, জরিমান যা খুশি করতে পরেন। তাহলে পানি উন্নায়নের লোকেরা কি করেন সবাই শুধু এ ওকে, একজন অন্য জনের উপর দায় দিয়ে বাঁতে পারলে হয়। যেখানে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সেদিকে কার কোন গুরত্ব নেই। নিজের পকেট ভারী হলে হল। এনিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে