গলা-কেটে-হত্যা

বিডি নীয়ালা নিউজ(৭ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ইং )-(আ,ফ,ম,মহিউদ্দিন শেখ)কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ চাঞ্চল্যকর গৃহবধু খালেদা হত্যার ঘটনায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া গ্রাম এখন ভয়ে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
নিতাই ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া গ্রামের আজহারুল ইসলামের স্ত্রী খালেদা আক্তারকে কে বা কারা গত ১ আগষ্ট’২০১৬ খ্রি. তারিখে তার শোয়ার ঘড়ে নির্মমভাবে জবাই করে । কিশোরগঞ্জ থানায় প্রথমে খালেদার মৃত্যুকে একটি অপমৃত্যু হিসাবে মামলা দায়ের করা হয় । পরবর্তীতে তার বাবা জাহিদুল মওলানা বাদী হয়ে একটি বেনামী মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রকৃত অপরাধীকে না ধরায় এলাকার মানূষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেরাচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এলাকায় শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধ মানুষ ছাড়া পুরুষ মানুষ নেই বললেই চলে । ভয়ে এলাকার দু’জন শিক্ষকও পালিয়ে বেরাচ্ছেন। বাদী পক্ষ বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পায়ঁতারা করছে বলে জানা যায়। এলাকার কিছু মহিলাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, খালেদার বাড়ীতে বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা ছিল । সে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ দেয়ার কথা বলে ভূয়া কাগজ বানিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। এ বিষয়ে তার স্বামী আজহারুলের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন । এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ বজলুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, “ঐ এলাকার মানুষ না বুঝে পালিয়ে বেরাচ্ছে । প্রকৃত অপরাধী ছাড়া কাউকে তারা গ্রেফতার করা হবে না।” এদিকে খালেদা হত্যার ১ মাস অতিবাহিত হলেও অপরাধীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তবে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে খালেদার দেবর মঞ্জুরুলকে (৩০) গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে