মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ কিছুতেই থামছেনা পানিউন্নায়ন বোর্ডের লুপ কাটিংয়ে বালি ও মাটি হরিলুট দৌরাত্ম্য বেরেছে বালুদস্যুদের। প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লুপ কাটিং করা বালুর স্থুপ থেকে হরিলুট করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী বালুদস্যুরা ।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩নং নিতাই ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড গাংবের এলাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নায়নবোর্ড কর্তৃক চারালকাটা নদী সোজাকরণ এবং বুড়িতিস্তা তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের লুপ কাটিংয়ের বালু চুরির মহা উৎসবে মেতেছে বালুদস্যুরা।

সেখানকার স্থুপকৃত বালু যা পরবর্তীতে বিক্রি করে সরকারী রাজস্য খাতে জমা করা হত। কিন্তু এলাকার কিছু অসাদু বালুদস্যুরা প্রভাব খাটিয়ে মাহিন্দ্রা ট্রলি দিয়ে দিনরাত সমান তালে বালু ও মাটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। নিতাই গাংবের এলাকার খয়রাত হোসেনের ছেলে খোকন, তার ভাই স্বপন, মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোকছেদুল ও তার ভাই ডাব্লউ, মৃত মেছের উদ্দিনের ছেলে ছাদেকুল, আবু সাঈদের ছেলে সাজু মিয়া, মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হাই গাটু, এবং সাদ্দাম হোসেন।

সেখানকার তদারকির দায়িত্বে থাকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এম এল এস এস রতনের সাথে কথা বললে তিনি কাঁদো কাঁদে স্বরে বলেন ভাই কি করব বাধা-নিষেধ করলে আমাকে মারতে আসে, হুমকি দেয়, এমন কি শরীর থেকে মাথা ফেলে দিবে এমন কথা বলে ও আরো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার বোনের বিয়ে ওই এলাকায় হওয়ায় সে নিরবে সব কিছু মেনে নিয়ে চুপটি করে বসে থাকে।

এ ব্যাপারে পানিউন্নায়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাখারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সরকারী কাজ একটু ধীরে হয় তবে কাজ হবে কেই ছার পাবে না। বালু ও মাটি নিয়ে যাচ্ছে এ ব্যাপারে বললে তিনি বলেন একা মানুষ অনেক দিক সামলাতে হয় কোনটা আগে করবো বলেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি হাসানের সাথে কথা বলতে চেষ্টা করে লাভ হয়নি উনি বার বার শুধু গাড়ী চালাচ্ছি গাড়ী চালাচ্ছি বলে মুঠোফোনের লাইনটি কেঁটে দেয়। মনে হচ্ছে তার কোন দায়ভার নেই। দেখতেছি দেখতেছি শুধু এটাই বলছে। কিন্তু সরকারী লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে সে দিকে কোন লক্ষ্য নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে