c drive

বিডি নীয়ালা নিউজ( ১৫ জুলাই ২০১৬ইং)- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্কঃ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে কখনোই ‘A’ কিংবা ‘B’ ড্রাইভ থাকে না। ড্রাইভগুলোর নাম ‘C’ থেকে শুরু হয়। কিন্তু কেন ?

আপনি যদি কম্পিউটারের শুরুর দিককার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো আপনার জানার কথা। কিন্তু আপনি যদি বর্তমান প্রজন্মের ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার মনে এই প্রশ্ন উদয় হয় যে, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের ড্রাইভের নাম ‘C’ থেকে শুরু কেন?

অর্থাৎ কম্পিউটারের মূল ড্রাইভ সর্বদা ‘C’ থেকে শুরু হয় এবং এরপর অন্যান্য ড্রাইভগুলো ধারাবাহিকভাবে ‘D’, ‘E’, ‘F’ এরকম হয়ে থাকে। আর যদি কম্পিউটারে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার করেন, তাহলে সেটি ‘G’ এবং ‘H’ হয়ে থাকে। সুতরাং ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভের কী হলো?

যা হোক, এবার উত্তরটি জেনে নিন। কম্পিউটার যখন প্রথম দিকে বাজারে আসে, তখন তাতে ইন্টারনাল স্টোরেজ ছিল না। কম্পিউটারে স্টোরেজ হিসেবে শুরুর দিকে ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হতো। ফ্লপি ডিস্ক কম্পিউটারে প্রাথমিক অবস্থায় ‘A’ ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফ্লপি ডিস্ক দুই ধরনের মাপের ছিল  ৫ ১/৪ ইঞ্চি এবং ৩ ১/২ ইঞ্চি। ফলে কম্পিউটারে যখন উভয় ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো, তা ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ নামে ছিল।

এরপর ১৯৮০ সালের দিকে যখন কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে হার্ডডিস্ক আসে, তখন সেটি ধারাবাহিকতা অনুসারে ‘C’ ড্রাইভ নামে ব্যবহৃত হতে থাকে। কারণ তখনো কম্পিউটারে এক্সটারনাল স্টোরেজ হিসেবে ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ ছিল। হার্ডডিস্কে সাধারণত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। ধীরে ধীরে সময়ের পরিক্রমায় অতি অল্প স্টোরেজ ক্ষমতার ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার কম্পিউটার কমতে থাকে। এবং পরবর্তী সময়ে ফ্লপি ডিস্ক পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ায়, কম্পিউটার থেকে থেকে বিদায় নেয় ফ্লপি ডিস্ক এবং ‘A’ এবং ‘B’ নাম দুইটি। কিন্তু হার্ডডিস্ক আজও অক্ষুণ্ন থাকায় মূল ড্রাইভ হিসেবে হার্ডডিস্ক ‘C’ নামেই রয়েছে।

তবে আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ড্রাইভটি যে ‘C’ হিসেবেই আজীবনের জন্য নির্ধারিত তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলে কম্পিউটারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অপশন থেকে ড্রাইভের নাম ‘A’ করতে নিতে পারবেন।

 

 

 

 

 

রাইজিংবিডি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে