স্টাফ রিপোর্টারঃ আলাপন -একটি নিরীক্ষামূলক উপন্যাস। এটি ২০১৯ এরবই মেলার শেষ দিনে অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারিতে স্টলে এসেছিল। সৌভাগ্য এই যে মেলা আরও দুই দিন বেশি করা হয়েছিল অর্থাৎ ২’রামার্চ পর্যন্ত মেলা চলেছিল। এখানে মোট ১০টি গল্প আছে। তাহলে গল্প গ্রন্থ না বলে উপন্যাস বলছি কেন?
আসলে এটি নিরীক্ষামূলক উপন্যাস। ১০টি গল্প নয় বরং ১০টি চরিত্র। চরিত্র গুলো যথাক্রমে – এক ভদ্রলোক, আদ্রিয়ান্না, ক্যাডাভিয়া, আসগর, আলিফ, নাসির, রহিম, সুজন, শফিক এবং কামাল।
নিরীক্ষামূলক এই জন্য যে, প্রতিটি গল্পের ভেতরে কিছু কথপোকথন রয়েছে। মূলত ওই কথপোকথনগুলোই আলাপন। তাই ১০টি চরিত্র হলেও আসলে একটি নাম “আলাপন”। গল্পের ভেতরে গল্প।
আলাপনগুলো শুরুই হয় ঠিক ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে যখন পাঠক গল্পের ক্লাইমেক্স এর উত্তর খুঁজতে মনযোগী হয়ে ভাবতে থাকে তখনই এই ‘আলাপন’ গুলোশুরু হয়।
আজ “সুজন” নিয়ে কিছু বলি।
এই চরিত্রটি আসলে কবিদের জন্য। কেউ যদি একবার ভেবে বসেন, তিনি নিজে একজনকবি – তাহলে কবিতার এক অদৃশ্য শক্তি তাকে আস্টে পৃস্টে ধরে বসে। তার আর পিছু ফেরার পথ থাকে না। কবিতার এই অদৃশ্য শক্তি তাকে কবি বানিয়েই ছাড়ে।
সুজন বইমেলায় এসেছিল কবিতার বই কিনতে কিন্তু এই বইটি কেনার পর সে লেখকের কাছে ছুটে গিয়েছিলো। আর লেখকের সাথে দেখা হতেই সুজনকে কবিতার সেই অদৃশ্য শক্তি ঘিরে ধরে।
সুজন জানতে পারে কবিতা লিখার জন্য স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্তের প্রয়োজন খুব একটা নেই। কবিতা লিখারজন্য গ্রামারের প্রয়োজন নেই। তবে ইন্দ্রিয় ছন্দ প্রয়োজন আছে আর সেটাতে কোনওগ্রামার নেই যা “সুজন” নামক গল্পটি পড়লেই পরিষ্কার হয়ে যায়। “আলাপন”এখন পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডট কম এ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে