…………………………আজহারুল ইসলাম আল আজাদ

দেশে ভোট এসেছে। জনগন জেগেছে। চায়ের দোকানে পানের দোকানে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে লোকের ভীর।কত গল্প কত কী? চমৎকার একটা উৎসাহ উদ্দীপনা সকলের অন্তরে সময়ে সময়ে তা মুখচ্ছবিতে ভেসে উঠে। আবার উৎসুক জনতা পান থেকে চুন খসলেই সেটাকেও রং দিয়ে ভিন্নতর রং প্রকাশ করেন। বেশ আনন্দ বিষাদ ও আবেগভরা জনগনের মতামত সৃষ্টিই হল নির্বাচন।

কে হবে কে হবে না কত হিসাব নিকাশ? কেউ কেউ খাতার পাতা শেষ করে হিসাব মেলাতে পারছে না,কেউ আবার চশমা আলগা করে একচোখা হয়ে কপাল উঁচিয়ে নাকটা একপার্শে বাঁকা করে বলে অমুক হবে তমুক হবে। কেউ আবার ময়লা দাঁতে একগাল পান খেয়ে একটা রঙ্গীন হাসি হেসে বলে হিসাবে আমরা জয়ী হয়েছি। অনেক জল্পনা কল্পনা।
এই জল্পনা জল্পনার অবসান হবে যে দিন নির্বাচন সম্পর্ন হবে।

সেই দিনটির অপেক্ষা। প্রতিক্ষিত এই দিনটি এত গুরুত্ব বহন করে যে পাঁচ বছরের জন্য নিজের আমানত ভোট কাউকে প্রদান করে মতামত পোষন করা এলাকার জনগনের ভাল মন্দ দেখা শোনা, সুস্থ্য ধারায় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, দুর্নিতীর মূলোৎপাঠন করা, সুদ ঘুষের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্ঠি করা, বাল্য বিবাহ বন্ধ করা, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করা, মসজিদ মন্দির গীর্জা প্যাগোটা,সহ অন্যান্য ধর্মীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন, ধর্মীয় অনুশাসন ও অনুভূতি সৃষ্ঠি করা। মদ, গাঁজা জুয়া সহ অসামাজিক কাজ সমুহ থেকে জনগনকে নিরুৎসাহিত করা। ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ করাই হল একজন নেতার গুন। এসব গুনাবলী যার মস্তিস্ক থেকে আসে সে হল নেতা।

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ ভাবে বাস করতে ভালবাসে। সেই সমাজ গঠনে কেউ নিরলসভাবে কাজ করে নাম যশ খ্যাতি রেখে যাওয়ার জন্য আবার কেউ সেই সমাজে বিভিন্ন যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে স্বীয় স্বার্থ হাছিলের নিমিত্তে সুকৌশলে সমাজকে কলুষিত করে তোলে। এভাবেও কেউ কেউ নেতা সাজে নির্বাচন করে পাশ করে পরবর্তীতে দলাদলি করে সুস্থ্য সমাজকে অসুস্থ করে তোলে।

Many man Many mind নিয়ে চলা ফেরা করে প্রত্যেকেরই কোন না কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য আছে।জীবন জীবিকার লড়াইয়ে কেউ বেশ্যা সেজে জীবিকা অর্জন করে আবার কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে। সামাজিক ও ধর্মীয়মতে কোনটি কতটুকু অপরাধ? এটুকু বিবেচনা করার তাগদ নেতার থাকা চাই। এখানে একটি উদাহরণ দিয়ে বলা যায় দুই জন ব্যক্তির মধ্যে কেউ একজন মুখে আতর মেখেছে সে গন্ধটি
অনেকের কাছে খুশবু ছড়িয়েছে, অন্যজন বিড়ি বা খুব দামী সিগারেট পান করে এসেছে এই গন্ধটি নাকে লাগামাত্র অনেকে কাছ থেকে সরে গিয়েছে। এখানে কোনটির মান কি? এটি নিশ্চিত বোঝার জন্য একটি ভাল মন ও বিবেকের প্রয়োজন রয়েছে।

মারামারি হানাহানি যুদ্ধ-বিগ্রহ নির্বাচনের সময় অনেক সহিংসতা ঘটে থাকে এটি কোন সভ্য সমাজে কাম্য নয়। যারা এটি করে থাকে তাদের ফলাফল যদিও ভাল হয় কিন্তু পরোক্ষভাবে অনেকের কাছে এটি অন্যায়, তাই এ ধরনের সহিংসতা এরিয়ে চলা একজন নতার বড় বৈশিষ্ট্য।

বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। গ্রামে সাধারনত দরিদ্র লোকজনের বাস। এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক জনের মধ্য থেকে নেতা তৈরি হয়। দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে নেতারা এই দরিদ্র লোকজনকে ব্যবহার করে এবং উস্কানিমুলক কথা বার্তার কারনে সহিংসতা ঘটে থাকে। কোন সহিংসতা কারো কাম্য নয়। তর্ক- বিতর্ক হল সহিংসতার কেন্দ্রস্থল। এতে অনেকের প্রাণনাশ হতে পারে। তাই সহিংসতা এরিয়ে চলা বুদ্ধি মানের কাজ। আসুন আমরা সঠিক নেতা নির্বাচন করি। সহিংসতাকে এরিয়ে চল।।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে