f

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৬জানুয়ারি১৬)- আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনঃ  ফ্রান্সে একটি ঔষধের পরিক্ষামূলক ব্যাবহার করার পর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় একজন কোমায় চলে গেছেন এবং পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনাটিকে নজিরবিহীন বলে বর্ননা করেছেন।

এর তদন্ত শুরু করা হয়েছে।বেদনানাশক নতুন এই ঔষধটি তৈরি করেছিল পর্তুগিজের একটি প্রতিষ্ঠান।

রেন শহরে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি গবেষণাগারে ঔষধটি পরিক্ষামূলকভাবে নব্বই জনের ওপর ব্যবহার করা হয়।

এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় একজনের মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়েছে এবং তিনি কোমায় চলে গেছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আরও পাঁচজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।তাদের মধ্যে তিনজনের প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

কিন্তু এই ৫জনকে নিয়েই চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন।কারণ এই ঔষধের যে পার্শপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, তার কোনো প্রতিষেধক নেই বলেই বলা হচ্ছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক গিলেস এডেন আশঙ্কা করছেন যে, হাসপাতালে থাকা ৫ জনের মধ্যে অন্তত তিনজন স্থায়ীভাবে হারাতে পারেন তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা।

এই চিকিৎসক বলছিলেন, হাসপাতালে থাকা ৫ জনের মধ্যে চারজনই নানা মাত্রায় নিওরোলোজিকেল বা স্নায়োবিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর তিনজনের অবস্থা এমনই গুরুতর যে, তারা হয়তো প্রতিবন্ধী হয়ে যাবার আশঙ্কা আছে এবং সব ধরণের চেষ্টা বা সর্ব্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেবার পরও তাদের পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম।

তবে ব্যাথানাশক এই ঔষধের মূল উপাদান গাঁজা বলে যে তথ্য বেরিয়েছে, সেটিকে নাকচ করে দিয়েছে ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।

একইসাথে এই ঘটনার সব বিষয় তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারিসল টোরেইন।

তিনি বলছিলেন, যা ঘটেছে তা নজিরবিহীন এবং এই ঘটনা উন্মোচনের জন্য যে তদন্ত হবে তা সর্বোচ্চ সতর্কতার দাবী রাখে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে