ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন জনসভা মঞ্চে উঠে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাস্যরসে মাতিয়ে তোলেন নেতাকর্মীদের। তার কথা শুনে জনসভাস্থলে হাসির রোল পড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনমঞ্চে উঠেই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত নেতাকর্মীর কাছে জানতে চাইলেন– ‘আফনারা ভালানি’। তার মুখে আঞ্চলিক ভাষা শোনে হাসির রোল পড়ে যায় নেতাকর্মীদের। সবাই উচ্চস্বরে জবাব দেন ‘ভালা-ভালা’।

পরে বক্তৃতার সময়ও ওবায়দুল কাদের স্বভাবসুলভ মজা করে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে এখন নেতার অভাব নেই। এখন কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যা বেশি। বড় নেতা, আধুলি নেতা, সিঁকি নেতা, আরও কত নেতা! তার এ কথায় সবাই হেসে ওঠেন।

স্লোগান দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না– সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশের মডেল তৈরি করতে আওয়ামী লীগকে নতুন করে গড়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ করতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। স্লোগান দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। সম্মেলনের মাধ্যমে প্রবীণের সঙ্গে নবীনের সমন্বয় ঘটে। এটিই নিয়ম। তবে পরিবর্তন মানে কাউকে বাদ দেয়া নয়।

পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বে নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে বিদায়ী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমানকে। সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আসাদ উদ্দিনের বড় ভাই সদ্য বিদায়ী জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মহানগরের বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জাকির হোসেন।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে