bosonto

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৩ফেব্রুয়ারি১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন : আজ ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন,পয়লা ফাল্গুন। কোকিলের মায়াবী সুরে শ্যামলিমার জেগে ওঠার দিন আজ।

ঋতুরাজ বসন্তের ছোঁয়ায় যৌবনা প্রকৃতির গায়ে যেনো লাগে শিহরণ। এলোপাথাড়ি বাতাসও ছন্দ তুলে নাচতে থাকে এসময়। ছন্দে তাল মেলায় বসন্ত ফুলের সুবাস। বসন্তে শিমুল-পলাশ শাঁখে রক্তিম আভা ছড়ায় সিঁদুরে লাল ফুল। হলদে-বাসন্তী ফুলে ছেয়ে যায় গাঁদা ফুলের গ‍াছ। চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, মাধবীলতা আর সন্ধ্যামালতী নিজ নিজ রঙে সেজে ওঠে। কুসমকাননে প্রজাপতি আর ভ্রমরের আনাগোনা। ভালোবাসার এই তো শুরু!

জবুথবু শীতের আষ্টেপৃষ্ঠে বন্ধন থেকে জীর্ণতা সরিয়ে প্রকৃতির ফুলে ফুলে সেজে ওঠার দিন এই বসন্ত।

বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। বসন্ত মানেই মৃদু হাওয়ায় প্রিয় মানুষের হাত ধরে হাঁটা। মিলনের ঋতু বসন্তই মনকে সাজায় বাসন্তী রঙে, মানুষকে করে জীর্ণতা সরিয়ে নতুন শুরুর প্রেরণা। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায় বসন্তের শাশ্বত রূপটি তাই এমন, ‘ফুল ফুটুক, আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।

বসন্ত কচিপাতায় আনে নতুন রঙ, আলোর নাচন। সাথে মানবমনেও হয়তো। তাইতো সবুজ পত্রপল্লবের আবডালে লুকিয়ে বসন্তের দূত কোকিল শোনায় মদির কুহুকুহু ডাক। আর এই ডাকে ব্যাকুল হয় বিরহী মন।

সাহিত্যে প্রেম আর মিলনের ঋতু বলেও বসন্ত সুপরিচিত। বসন্তের শুরুর দিনে রাঙা মনের সৌন্দর্য ফুটে উঠে পোশাকেও, থাকে ফাগুনের আগুন ঝরানো রং। বসন্তের বাতাস যেমন প্রকৃতিকে জাগিয়ে তোলে নতুনভাবে।

বসন্তের আগমনী গানে পুরো বাংলাদেশ যেন আটপৌরের আগল ভেঙে বসন্তের আহ্বানে জেগে ওঠে। তরুণীর পরনে শোভা পায় বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় বাসন্তী ফুল। গালে বসন্তের মনকাড়া আল্পনা।

তরুণের বসনেও বাসন্তি ছোঁয়া। বাদ যায় না শিশু কিংবা বয়োবৃদ্ধরাও। সবার মন তাই গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠে ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে/এত বাঁশি বাজে/ এত পাখি গায়…।’

বসন্ত শুধু একটি ঋতুই নয়, এটি ভালোবাসার প্রতীক। নতুন কুঁড়ি, নতুন চাঁদ, নতুন প্রেম, নতুন ভাবনা, নতুন উন্মাদনা আর নতুন উচ্ছ্বাস।

এবারের বসন্ত প্রত্যেকের জীবনে বয়ে আনুক পরম আশির্বাদ, পূর্ণতা ও সুখ। বসন্ত বিরাজ করুক সবার মনে।

সবাইকে বসন্তের সুভেচ্ছা “শুভ বসন্ত”

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে