আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কানাডায় পড়াশোনা, একটি চাকরি ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চান পরিবার থেকে পালানো সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ আল কুনুন। এগুলো তার নিজ দেশ সৌদি আরবে করার সুযোগ পেতেন না বলে তিনি মনে করেন।

সোমবার কানাডার একটি গণমাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যাংকক থেকে টরন্টো পৌঁছানোর দুদিন পর কানাডায় তিনি খুব ভালো বোধ করছেন বলেও জানান তরুণী রাহাফ।

তিনি বলেন, এ জন্যই আমি ঝুঁকি নিয়েছি।

সৌদি আরবে তার পরিবারের কাছে তাকে ফেরত পাঠানো হতে পারে আশঙ্কায় ব্যাংকক বিমানবন্দরের একটি হোটেল কক্ষে নিজেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন রাহাফ। যদিও তার পরিবার নির্যাতনের সব অস্বীকার করেছেন।

তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বাবা-মা ব্যাংককে এলে তাদের সঙ্গেও দেখা করতে অস্বীকার করেন রাহাফ। এর মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন তার শরণার্থীর মর্যাদা পেতে করা আবেদন মঞ্জুর করেছে।

তবে কানাডা এমন একসময় তাকে শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ করেছে, যখন সৌদি আরবের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে চরম টানাপড়েন চলছে।

গত বছর সৌদি আরবে আটক মানবাধিকারকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছিল কানাডা। এর পরই দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি শুরু হয়। কানাডার সঙ্গে সব নতুন বাণিজ্য স্থগিত করে দেশটি থেকে নিজেদের সব শিক্ষার্থীকে ফেরত যেতে নির্দেশ দেয় সৌদি আরব।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে