yemen

আন্তর্জাতিক রিপোর্টঃ ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিদ্রোহীদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে বিমান হামলায় ১শ ৪০ জনের বেশি লোক নিহত ও ৫শ’ জনের বেশি আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক মানবাধিকার সমন্বয়ক জ্যামি ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, ‘এটি একটি ভয়াবহ হামলা।’
বিদ্রোহী হুতি সরকার এই হামলার জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে দায়ী করেছে। তবে সৌদি আরব এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে তারা জোট বাহিনীর প্রতি তাদের সমর্থন কমিয়ে দিয়েছে।
হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহযোগিতার একটি সীমা রয়েছে।’
তিনি বলেন, অবিলম্বে ইয়েমেনের মর্মান্তিক সংঘাতকে স্থায়ীভাবে বন্ধসহ মার্কিন আদর্শ, মূল্যবোধ ও স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় ওয়াশিংটন জোটের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল।’
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে।
২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে।
ম্যাকগোল্ডরিক বলেন, শনিবারের হামলার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাহায্য কর্মীরা ‘স্তম্ভিত’ হয়ে পড়েন। তারা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানান।
হুতি বিদ্রোহীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জালাল আল-রাউইশানের বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে এ হামলা চালানো হয়।
জালাল বিদ্রোহী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আল আব্দুল্লাহ্ সালেহ্’র মিত্র।
উদ্ধারকারী কর্মী মুরাদ তৌফিক ঘটনাস্থলকে ‘রক্তের বন্যা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) জানিয়েছে, তারা ৩শ’ মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ প্রস্তুত রেখেছে।
আইসিআরসি’র রিমা কামাল বলেন, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করে কয়েক দফা বিমান হামলা চালানো হয়। সে সময় সেখানে কয়েকশ বেসামরিক লোক উপস্থিত ছিলো। হামলায় ভবনগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এই হামলায় হুতি বিদ্রোহীদের বেশ কয়েকজন সৈন্য ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইয়েমেনে প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ্ মানসুর হাদি নেতৃত্বাধীন সরকার হুতি বিদ্রোহী ও সালেহ্’র অনুগত বাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

বি/এস/এস//এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে