evm

বিডি নীয়ালা নিউজ(২ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ প্রায় তিন বছর ফেলে রাখার পর আবার ইলেকট্র্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সামনে আনার চিন্তা-ভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শেষ হলেই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসবে বলে জানা গেছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত দুই বছরে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তাতে বাতিল ভোটের হার কমানো যায়নি। এছাড়া নির্বাচন শেষ হলেও ফলাফল ব্যবস্থাপনাতেও থেকে যাচ্ছে বিড়ম্বনা।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমে ভোট হলে বিকেল ৪টা এক মিনিটেই বলে দেওয়া সম্ভব কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন। অথচ এখন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর গণনা করতেই প্রচুর সময় লেগে যায়। আবার ঝুঁকিও থাকে অনেক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানান, চলমান ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের দিন বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল রাখা হলেও ফলাফল ঘোষণা করতে হয়েছে সন্ত্রাসীদের চাপে। আবার অনেক সময় কেন্দ্র থেকে ব্যালটবাক্স রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আনার সময় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টা নতুন না হলেও এজন্য তারা সনাতন পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে ৫ লাখের মতো ভোট বাতিল হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে এপ্রিলের তিন সিটি নির্বাচনে ১ লাখ ২১ হাজার ৩টি ভোট বাতিল হয়েছে। এরপর একই বছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সারাদেশের পৌরসভা নির্বাচনে ৭৮ হাজার ভোট বাতিল হয়েছে। আর এবারে প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে বাতিল হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৬৫টি ভোট। আর দ্বিতীয় ধাপে বাতিল ভোটের সংখ্যা অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার ৩০১টি।

দেশে প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার হয় ২০১০ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়। সে সময় কয়েক ধাপে ১২ শতাধিক ভোটযন্ত্র ক্রয় করে সে সময়কার এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের পরিকল্পনা ছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচগুলোতে ইভিএম ব্যবহারের পর তা জনপ্রিয় হলেই

ইউপি নির্বাচন শেষ হবে আগামী জুন মাসে। এবার ছয় ধাপে সারাদেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউপিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে যাবে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে