ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  “কাজ এখনও শেষ করা যায়নি। তবে আগামীকাল (শনিবার) রাতের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি।”

প্রথম সাবমেরিন কেবল মেরামতের কাজ চলাকালে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট গতি ধীর থাকতে পারে এর আগে জানিয়েছিল বিএসসিসিএল। তবে কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় তা এখনও শেষ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন মশিউর।

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়। এর সংস্কার কাজের জন্য প্রথমবারের মতো কেবল কাটা পড়েছে, রিপিটার পরিবর্তনের কথাও জানিয়েছেন বিএসসিসিএলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

ওই সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবলের (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

এছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।

এখন এই কেবল থেকে প্রায় ১৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে মশিউর রহমান জানিয়েছেন।

ইন্টারনেট গেইটওয়ে ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১৮০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসে। বাকি জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে।

B/D/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে