বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫ই ফেব্রুয়ারী ১৬)-নিজস্ব প্রতিবেদনঃ অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনের সময় নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ছাড়াই আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভোটের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন করায় তাতে বেশি ‘সংঘাতের’ আশঙ্কা রয়েছে- বিএনপির এ দাবির মধ্যেই ভোটের নিরাপত্তায় এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন উপযোগী চার হাজার ২৭৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে আগামী ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭৩৯টিতে ভোট হচ্ছে। পর‌্যায়ক্রমে আরও পাঁচ ধাপে ভোট হবে।

 

দলীয়ভাবে ভোট আয়োজনের বিরোধিতা করে বিএনপির পক্ষ থেকে রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এতে সংঘাত বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সামাজিক সম্প্রীতিও নষ্ট হবে।

অবশ্য তা মানতে নারাজ নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।

তিনি বলেন, “আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগ করব।বিজিবি দেওয়ার চিন্তা নেই আমাদের। ভোট কেন্দ্রে আনসার সদস্য বাড়িয়ে দেওয়া হবে। সুন্দরভাবেই ভোট হবে আশা করি।”

তবে বিজিবি মোতায়েনের পরিকল্পনা না থাকলেও প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে বিজিবি মোতায়েনের পরামর্শ তার।

“ছোট্ট ইউপিতে ঝামেলা আর কত হবে। দলীয়ভাবে ভোট হলেও সংঘাতের শঙ্কা কম, যদি নিজ দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের রোধ করা যায়,” বলেন ছহুল হোসাইন।

এবার ইউপি ভোটের জন্য ৬০০ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে, যার মধ্যে থেকে ৩৫০ কোটি টাকাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যয়ের ধারণা দেওয়া হয়েছে।

বাকি ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে নির্বাচন পরিচালনায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে