ডেস্ক রিপোর্টঃ জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে গিয়ে কবিকে কথা বলতে দেখা যাবে, কেউ ভাবতেই পারেননি। কবি সৈয়দ শামসুল হক আবৃত্তি করছিলেন আরেক অগ্রজ জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কবিতাটি। নেপথ্যে বাদকের হাতে বাজছিল এসরাজ। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের কোনো এক অনুষ্ঠানে ধারণ করা সেই ভিডিওটি বড় পর্দায় চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল রোববার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে ছিল সৈয়দ শামসুল হকের স্মরণসভা। শিল্পের বহুমুখী সংসারে যাঁরা কবির সঙ্গী ছিলেন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেই সভায় তাঁরাই এসেছিলেন। একাংশ মঞ্চে, বাকিরা নিচের আসনে। কথা বলেছেন ভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়া সহপাঠী ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক, কবির ছেলে দ্বিতীয় সৈয়দ হক ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা যখন আড়মোড়া ভেঙে একটি মফস্বল হয়ে উঠতে শুরু করেছে, হক তখন সাহিত্যে এনে দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিকতা। একটি বিরূপ স্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সৈয়দ হক লিখে গেছেন। সৃজনশীলতার জন্য আমৃত্যু কর্মব্যস্ত ছিলেন তিনি। অতিথিদের কথার ফাঁকে মঞ্চে আসেন অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার। আকস্মিকভাবে তিনি হয়ে ওঠেন পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নাটকের ‘মাতবরের মেয়ে’। নাটকটির দুটি সংলাপ আবৃত্তি করে ভেজা চোখে মিলনায়তন ছাড়েন তিনি। স্মরণসভার সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বললেন, ‘সৈয়দ হক আমাদের ঋণী করে গেছেন। আমরা সব সময় তাঁকে স্মরণ করব গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে।’
সৈয়দ হক ও শহীদ কাদরীর স্মরণসভা
সৈয়দ হকের কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন আরেক কবি শহীদ কাদরী। এ দুই কবিকে একসঙ্গে স্মরণের আয়োজন করেছিল কবিতাকর্মীদের সংগঠন ‘শিল্পিত’। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনের এ স্মরণসভায় ওসমান গনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক নিরঞ্জন অধিকারী, বাংলা বিভাগের শিক্ষক রফিকউল্লাহ খান প্রমুখ।
পি/এ/এন