shekh-hasina

বিডি নীয়ালা নিউজ(২০ই ফেব্রুয়ারী১৬)-ঢাকা প্রতিনিধিঃ  ‘আমরা দেশের মানুষের মধ্যে মর্যাদাবোধ ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, তাদের আত্মবিশ্বাসও ফিরে এসেছে। আমরা এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারি। এসব একুশ আমাদের শিখিয়েছে’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২০১৬ সালের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত সাত বছরে দেশকে একটি মর্যাদার আসনে এনে দিতে পেরেছি, দেশের মানুষের ভেতর মর্যাদাবোধ তৈরি করে দিতে পেরেছি, এটাই আমাদের বড় অর্জন।আর্থ-সামাজিক উন্নতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি অবস্থান করে নিয়েছে’। তিনি বলেন, ‘কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের মর্যাদায় চলব। আমাদের যতটুকু সম্পদ আছে তা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত করব। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করবে’।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিকে ধংস করার চেষ্টা করা হয়েছিলো ভাষার উপর আঘাত করে। এ সময় পাকিস্তানিরা আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমাদের দেশের ভাষা সৈনিকরা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সে মাতৃভাষা অর্জন করেছিলেন।  আজ আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি’। ৫২’র ভাষা আন্দোলন আর একুশে ফেব্রুয়ারির শহীদদের কথা স্মরণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৪৮ সালে মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা চেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সে সময়ের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘একটি জাতিকে জাতি হিসেবে ধ্বংস করার যে অপচেষ্ট করা যায় সেটাই করা হয়েছিল ভাষার ওপর আঘাত দিয়ে। এক হাজার ২০০ মাইল দূরের পাকিস্তান নামক দেশটি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল উর্দু ভাষা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের ছাত্ররা তাৎক্ষতিকভাবে এর প্রতিবাদ করে। এরপরই ৪৮ সালে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এই সংগ্রাম করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জন্য শুধু একটি দিবস নয়। একুশ অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করতে শেখায়। আমাদের আত্মমর্যাদাবোধের শিক্ষা দেয়।’ একুশে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্তদের হাতে তাদের সম্মাননা তুলে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি আপনাদের মাধ্যমে দেশের মর্যাদা আরও বাড়বে। ভবিষ্যত প্রজন্ম উজ্জীবিত হবে। আমরা জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে থাকতে চাই। আর সে লক্ষ্য সামনে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।   এর আগে স্ব স্ব ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, সাহিত্যিক অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক প্রেস সচিব তোয়াব খানসহ ১৬ জনকে একুশে পদক প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। পদক প্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট স্বর্নের তৈরী ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি পদক, দুই লাখ টাকা, একটি সম্মাননা পত্র এবং একটি রেপ্লিকা দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে